আইন নিয়ে পড়াশোনা

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রায়হান শরীফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের খ্যাতিমান অধ্যাপক ও গ্রন্থের প্রণেতা ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। ড. পাটোয়ারী আইন শাস্ত্রের অধ্যাপক ও গ্রন্থ প্রণেতা। তাই তার প্রতিষ্ঠিত আইন অনুষদ সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম আইন বিভাগ চালু করা হয় এই ইউনিভার্সিটিতে। বর্তমানে আইন অনুষদে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়ালেখা করার সুযোগ পান। দিবা শাখার পাশাপাশি সান্ধ্যকালীন শাখায়ও এখানে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে। \হইউনিভার্সিটির আইন অনুষদে যে কোর্সগুলোয় ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে, সেগুলো হলো- চার বছরমেয়াদি এলএলবি (সম্মান) দিবা শাখা, চার বছরমেয়াদি এলএলবি (সম্মান) সান্ধ্যকালীন শাখা, দুই বছরমেয়াদি এলএলবি (পাস) প্রোগ্রাম, এক বছরমেয়াদি এলএলএম (মার্টার্স) প্রোগ্রাম, দুই বছরমেয়াদি এলএলএম (মাস্টার্স) প্রোগ্রাম। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধীনে দুই বছরমেয়াদি মাস্টার্স অব হিউম্যান রাইটস ল' প্রোগ্রাম চালু রয়েছে- যা বাংলাদেশে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ কর্তৃক এ অনুষদের একাডেমিক সিলেবাসগুলো প্রণীত। আইন অনুষদে ২৫ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছেন। জ্ঞান ও বেধা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাস্তব ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা আইনের অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিখ্যাত আইনজীবী সমন্বয়ে আইন অনুষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একজন সফল আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আইনের জটিল বিষয় মোকাবিলা করতে পারে সে জন্য এখানে 'বার প্র্যাকটিশনার্স ট্রেনিং প্রোগ্রাম (বিপিটিসি)' নামে একটি কোর্স চালু রয়েছে। এ কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আদালতের কার্যধারা, বিভিন্ন ধরনের ড্রাফটিং, অ্যাডভোকেসি ইত্যাদি বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সম্প্রতি এ কোর্সটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি গ্রহণ করে এবং আদালতে প্র্যাকটিশনার আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করতে পারে তার জন্য এ ব্যবস্থা। দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এ ছাড়া পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে চার শতাধিক শিক্ষার্থী এ ইউনিভার্সিটিতে সম্পূর্ণ বিনা বেতনে অধ্যয়নরত। ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বাড্ডার সাঁতারকুলে স্থাপন করা হয়েছে। যোগাযোগ : স্থায়ী ক্যাম্পাস, সাঁতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা। ফোন :০১৯৩৯৮৫১০৬০। ৬৬, গ্রিন রোড, ঢাকা। বাড়ি-৪, সড়ক-১, বস্নক-এফ, বনানী, ঢাকা। ফোন :০১৯৩৯৮৫১০৬১-৪। িি.িফরঁ.ধপ স্থায়ী ক্যাম্পাসে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসার জন্য বাস ও শাটল সার্ভিস রয়েছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ইনডোর ও আউটডোর গেমসের আয়োজন করা হয়। সবুজে ঘেরা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা এই স্থায়ী ক্যাম্পাসের পরিবেশ মনোমুগ্ধকর।