ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

টিএসসিতে মুখরিত সন্ধ্যায়...

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রিয়াংকা পিংক আড্ডা! আড্ডা মানেই মনে অন্যরকম ভালোলাগা। আর এই আড্ডা যদি সন্ধ্যায় শুরু হয়ে রাত অব্দি চলে তাহলে তো ভালোলাগার মাত্রাটা বেড়ে যায় আরো কয়েকগুণ। জায়গাটি যদি আবার হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি তাহলে তো কোনো কথাই নেই, এ যেন সোনায় সোহাগা। আড্ডা জমে উঠার জন্য এর চেয়ে আর সুন্দর কোনো কিছু হতেই পারে না। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়াই তন্নি ফেসবুকে পোস্ট দেয়। 'কই তোরা? টিএসসিতে আছি, সবাই চলে আয়'। তন্নির পোস্ট দেখে দেখে টিএসসিতে একে একে উপস্থিত হয় মেহেদী, রেজাউল, রিফাত, নিপা, রানা, সাদিক, বৃষ্টি, নুসরাত, সাইফুলসহ আরো অনেকে। আমি তখনো হলে। বন্ধু আশিকের ফোনকল। দোস্ত কই তুই? টিএসসিতে চলে আয়, আমরা সবাই চলে আসছি। রুম থেকে বের হওয়ার ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও বন্ধুত্বের টানে এক রকম বাধ্য হয়ে আমিও যোগ দিই আড্ডাতে। দেরি করে যাওয়ায় সম্মিলিত চা পর্বটা মিস করি। তবে বন্ধু ইমতিয়াজ তা পুষিয়ে দেন। বাদপড়া কয়েকজন একসঙ্গে চা পর্বটা সেরে ফেলি। এরপর শুরু হয় মন খুলে কথাবার্তা, হাসি-তামশা আর খুনসুটি। আশিকের সু্যট-টাই-শু পরা সাজগোজ, নিপার হাসিমাখা খুনসুটি, বৃষ্টির দুষ্টামি, মেহেদীর মধুমাখা কথাবার্তা, ইমতিয়াজের আপ্যায়ন, তন্নির ফটোসেশন, নুসরাতের অমায়িক সৌন্দর্যই ছিল আড্ডার মূল টপিক। ধীরে ধীরে উপস্থিতি যত বাড়তে থাকে আড্ডা জমে উঠে তত গভীরভাবে। সময় যে কখন চলে যায় কেউ বুঝতেই পারে না। সবার মনে তখন একটাই ভাবনা- ভালোই তো লাগছে, চলুক না আর কিছুক্ষণ। সত্যি বলতে বন্ধুত্ব আসলে এমনই এক নির্মল সম্পর্কের নাম- যার কাছে জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করা যায়, যাকে বিশ্বাস করা যায়, যার সঙ্গে সময় কাটালে শুধু ভালোই লাগে না, জাগরিত হয় অনিন্দ্য কিছু বিশেষ অনুভূতি। আজকের আড্ডার উপলব্ধিটাও ছিল তেমনই। একবাক্যে বললে অসাধারণ। সবাই কত কিছু বলছে অথচ কারো মুখে বিরক্তির কোনো ছাপ নেই। সবার চোখে মুখে শুধু আনন্দরই ছাপ। সত্যিকার বন্ধুত্ব এমনই। সবার চাওয়া শুধু এখন একটিই- এই বন্ধুত্ব যেন নষ্ট না হয়ে যায়, টিকে থাকে যেন যুগ যুগ ধরে। রাত সাড়ে ৯টা তবুও আড্ডা শেষ হওয়ার নাম-গন্ধ নেই কিন্তু বাস্তবতা মেনে অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাত পোনে ১০টার দিকে আড্ডার ইতি টানতে হয়। সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে থাকি আর মনে মনে বলি এই আড্ডা যদি শেষ না হতো তাহলে কেমন হতো তুমি বলো তো।