আর কোনো আবরারকে হারাতে চাই না
চোখের পলকেই শেষ হয়ে এলো ২০১৯! নতুন এক দশকে পা রাখতে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের পাতা। সবার জীবন হয়ে উঠুক আনন্দমুখর এবং নিরাপদ! আমি চাই, প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবর্তন নিয়ে আসুক! যে পরিবর্তন সৃষ্টি করবে মূল্যবোধ এবং জাগ্রত করবে আমাদের বিবেক! সহনশীল হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে, প্রতিটি মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে আমাদের! শিক্ষাঙ্গনে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করে, শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার মান উন্নয়নে সবার কাজ করা উচিত। ২০২০ নিয়ে আসুক নিরাপদ জীবন। আর কোনো আবরার মারা যাক বা মেরে ফেলা হোক তা আমরা চাই না। এই লাল সবুজের দেশে অরাজকতা ধ্বংস করে শান্তি নিয়ে আসতে কাজ করতে হবে আমাদের সবাইকে। দুর্নীতিমুক্ত এবং স্থিতিশীল বাংলাদেশই আমাদের সবার কাম্য।
হাবিবুন নাহার বীথি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর হোক চ্যালেঞ্জের
আমরা ভিরু নই, কাপুরুষ নই, এমনকি দুর্বলও নই! তাহলে আমরা কি? আমরা হচ্ছি তরুণ; আমরা বীর! আমাদের বীরত্বের আচ্ছাদনে নতুন বছর হোক স্বপ্ন জগতের প্রাণবন্ত এক তারুণ্যের উচ্ছলতার বহিঃপ্রকাশ। সময় চলে যাবেই; অতীতের ভুল-ভ্রান্তিগুলোকে আমরা চাইলেও পরিবর্তন করতে পারব না- তবে বর্তমানকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পরিকল্পনার ভবিষৎকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে পারি দুর্বার গতিতে। যে গতির অগ্রে থাকবে আমাদের বিজয়ের পতাকা। তাই আমাদের নতুন বছর হোক চ্যালেঞ্জের। সব দুর্বলতার দুর্বোধ্য দেয়াল ভেঙে চ্যালেঞ্জের একাগ্রতায় উদিত হোক নতুন সূর্য।
গোপাল রায়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নিরাপদ হোক আমাদের সড়ক
দেখতে দেখতে চলে গেল আরেকটি বছর। একজন সচেতন নাগরিক এবং তরুণ প্রজন্মের একজন হিসেবে আমি চাইব পূর্ববর্তী বছরে যে ঘটনাগুলো আমাদের মনে দাগ কেটেছে নতুন বছরে সেসব ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়।
আমি চাইব আমার দেশের সব দুঃখ, দুদর্শা কেটে যাক। সমাজ কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাক। সময়ের সঙ্গে সব কিছু ঠিক মতো এগিয়ে যাক। চাই না নারীদের প্রতি কোনো অসম্মান। কোনো নারীকে যাতে তার ইজ্জত হারাতে না হয়। ধর্ষণের বিরুদ্ধে এক হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে, ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। নারীদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচার সুযোগ করে দিতে হবে। রাজনীতির নামে কোনো নোংরা খেলা আর চাই না। চাই না সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মানুষ প্রাণ হারাক। নিরাপদ সড়কে পরিপূর্ণ হোক আমার মাতৃভূমি। দেশের সম্পদ ও পরিবেশের আর কোনো ক্ষতি চাই না। একটু একটু করে সবাই হাতে হাত রেখে, ঐক্য গড়ে তুলে এই দেশটার জন্য কিছু করব। উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গোটা বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে যাতে দাঁড়াতে পারে আমার দেশ, আমাদের সবার সেই চেষ্টাই করতে হবে।
রুবামা তাবাসসুম ফাবীহা
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
আরও তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব হোক
পুরনো বছরের হিসাব চুকিয়ে নতুন সম্ভাবনায় নিজেকে শতভাগ দিতে সব তরুণের বিস্তর যোগবিয়োগের শেষ নেই।
নতুন বছরকে আপন করে গড়ে নিতে, আপন সম্ভাবনায় মানিয়ে নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক প্রতিকুলতায় নিজেকে অবদানের জন্য যোগ্য করে, নতুন বছরকে বরণের এই আগমনী গান বেজে উঠুক সব উদ্দীপ্ত তরুণ-তরুণীর মাঝে। স্বপ্নীল চিন্তাভাবনায় সবার মাঝে আসুক শুদ্ধ পরিবর্তনের ছোঁয়া। আমার নতুনের ভাবনাজুড়ে থাকুক নিজের জন্য কিছু সুখকর সংবাদ, পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়ে দেশের জন্য নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখার প্রত্যয়। যাতে করে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে সামগ্রিকভাবে নিজের অবদান কিছুটা হলেও পরিলক্ষিত হয়, যাতে পরবর্তী তরুণেরা আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে দেশের সেবায় আপন জায়গা থেকে যোগদান করতে পারে একনিষ্ঠতায়।
মো. আশরাফুল ইসলাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
নতুন বছরের আগমন মানেই পুরনো দিনের ছুটি। আর এই পুরনো দিনের হিসাবের খাতায় জড়িয়ে থাকে আমাদের হাজারো সাফল্য কিংবা হাজারো ব্যর্থতার গল্প- ঠিক তেমনি তরুণ প্রজন্মের ভাবনায়ও জড়িয়ে থাকে অনেক প্রত্যাশা। সভ্যতার বিনির্মাণে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অবদান রয়েছে। উন্নতি সাধনে নারীদের অবদান উলেস্নখযোগ্য সমাজের উন্নতি সাধনে নারী ও পুরুষকে পরস্পর সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে। নারী জাতির প্রতি অবহেলা, অন্যায়, অবিচার করে কোনো জাতি উন্নতি সাধন ও অগ্রগতি হবে না। অথচ দিন শেষে ঘরে-বাইরে নারীরাই লাঞ্ছিত। দিন শেষে আজও নারীরা বিভিন্ন কারণে নিগৃহীত নির্যাতিত। কিন্তু তার মধ্যে উলেস্নখযোগ্য কারণ যৌতুক।
\হযৌতুকের জন্য আজও নারীরা নির্যাতনের স্বীকার। আজ সংসারে অশান্তি যৌতুক, আজও যৌতুক সংসার ভাঙনের কারণ। তাই নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা যৌতুকের জন্য নিগৃহীত নির্যাতিত নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যৌতুক প্রথা রোধে যে আইন রয়েছে তার ব্যবহার সুনিশ্চিত করা; এ ছাড়াও পথেঘাটে চলাফেরায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
জেলী আক্তার
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ