এক 'মুঠো হাসি'র পথ চলা

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জাবেদুর রহমান আমাদের জীবনে চলার পথের সময়টা খুবই কম, কিন্তু কাজ অনেক বেশি। আর এ চলার পথে যদি কাজটা হয় ভালো এবং সহজ তাহলে সময়টা খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। বর্তমান সময়ে ভালো সময়ের সঙ্গী সবাই হতে চায়, কিন্তু খারাপ সময়ের সঙ্গী কেউ হতে চায় না। ঠিক একইভাবে, ২০১৯ সাল আমাদের কাছ থেকে দ্রম্নত চলে গেছে কয়েকটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের মাধ্যমে। সংগঠনের কার্যক্রমগুলো ভালো থাকার কারণে আমরা সবাই একে অপরের পাশে ছিলাম। আসলে, উপরের বিষয়টি দেখে সবার মনে প্রশ্ন উদয় হতে পারে 'এক মুঠো হাসি' আসলে কি? এক মুঠো হাসি হলো একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবকল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন। যারা অসহায়, নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে থাকে। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের নবীগঞ্জ আল-হেলাল কমিউমিটি সেন্টারে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। \হসমাজকে বদলাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিকল্প নেই। সেই দ্বারায় সমাজকে পরিবর্তন করতে একদল তরুণ-তরুণীরা হবিগঞ্জ জেলার অধীনে নবীগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'এক মুঠো হাসি'র মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যে বয়সে তরুণ-তরুণীদের লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, সেই বয়সে তরুণ-তরুণীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। আমরা জানি, সমাজকে পরিবর্তন করতে তরুণদের ভূমিকা অনেক। এ জন্য এ পি জে আব্দুল কালাম বলেছেন, 'ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সব মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।' সেই চিন্তাভাবনা নিয়ে তরুণ-তরুণীরা গরিব অসহায় মানুষের পাশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি ৩৫ জন গরিব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। ১৮ ফেব্রম্নয়ারি ৬ বছরের শিশু মেহেদি হাসানের চিকিৎসার জন্য কলেজ ও বাজার থেকে চাঁদা সংগ্রহ করে মেহেদি হাসানের পরিবারের কাছে অর্থ প্রদান করা হয়। ২১ ফেব্রম্নয়ারি বইমেলায় বুক স্টল, ২২ ও ২৩ তারিখ বিনামূল্যে ৪৪৪ জন মানুষের রক্তের গ্রম্নপ নির্ণয় করা হয়; পাশাপাশি বইমেলায় অবদান রাখার জন্য দ্বিতীয় সেরা স্টল নির্বাচিত করা হয়। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করতে 'কুইজ প্রতিযোগিতার' আয়োজন করা হয়, মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব 'পবিত্র ঈদুল ফিতর' উপলক্ষে ৩১ মে ও ১ জুন অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করা হয়। ১৫ জুন অসহায় মানুষের মধ্যে নবীগঞ্জ বাজারে খাবার বিতরণ করা হয়। ১৩ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসচ্ছল পরিবারের মধ্যে কোরবানির গোশত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিতরণ করা হয়।