রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পিঠার স্বাদে আড্ডা জমে

প্রকাশ | ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মো. উমর ফারুক চারদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া। শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে ক্রমশ। কনকনে শীতে প্রায় স্থবির জনজীবন। কিন্তু এই শীতের আমেজে পিঠা না হলে কী চলে! একজন মানুষ পাওয়া যাবে কি যার পিঠা অপছন্দ? শীতকালকে এক ধরনের পিঠাময় উৎসব বলেন অনেকে। আবার বাঙালিদের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ বলা চলে। শীতকাল আসলেই মনে পড়ে যায় মায়ের হাতে পিঠা বানানো আর চুলার পাড়ে বসে পিঠা খাওয়ার দিনগুলোর কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ঝামেলা থাকায় সময়মতো বাড়ি যেয়ে পিঠা খাওয়া হয়ে উঠে না। কিন্তু সেসব পিঠাখোর মানুষগুলো কোনোক্রমেই পিঠা হাতছাড়া করতে পারে? একদমই না। পিঠাখোরদের সেই চাহিদা পূরণ করে চলছে ক্যাম্পাসের কিছু পিঠা বিক্রেতারা। বলছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠা পিঠার দোকানগুলোর কথা। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য অঞ্চল থেকে রাজশাহীতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় পিঠার চাহিদা চোখে পড়ার মতো। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা কিংবা রাত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের আবাসিক হলসংলগ্ন (পশ্চিম পাড়া), ইবলিশ মাঠের দোকানগুলোতে তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, কালাইরুটিসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা। যার সঙ্গে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রকারের ভর্তা- যা কিনা পিঠার স্বাদকে দ্বিগুণ করে তুলে। শিক্ষার্থীদের মাঝে পিঠার দারুণ চাহিদা থাকায় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। সারা বছর পিঠা বিক্রি হলেও শীতকাল উপলক্ষে পিঠার চাহিদা থাকে দ্বিগুণ। সারাদিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস পেতে বিকেল ও সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। স্বল্পমূল্যে এসব পিঠা খেতে নিত্যদিন ভিড় জমানো সেইসব শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করতে প্রায়ই হিমশিম খেয়ে হয় এসব দোকানিদের। দোকানের চারপাশে পিঠা খাওয়ার সময়টা হয়ে উঠে উৎসব মুখর। শিক্ষার্থীদের মতে, শীতে পিঠার চাহিদা বেশি থাকায় ক্যাম্পাসের দোকানগুলোতে পিঠার আয়োজন বেশি হয়। সবসময় পিঠা খাওয়া জন্য বাড়ি যাওয়া হয় না; কিন্তু ক্যাম্পাসে এসব দোকানগুলো পিঠা শিক্ষার্থীদের সেই চাহিদা একটু হলেও পূরণ করে চলছে। প্রায় দিনই সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে পিঠা খেতে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। সারা বছর পিঠা বিক্রি করলেও শীতে পিঠার চাহিদা অনেক বেশি। শীতের মাত্রা যত বাড়ছে তত পিঠা বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা পূরণে হিমশিম খেতে হয়। এসব পিঠা বিক্রি করে তারাও লাভবান হন এবং শিক্ষার্থীদের পিঠার চাহিদা পূরণে সক্ষম পিঠার দোকানিরা। দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ বিভিন্ন ধরনের পিঠাগুলো। নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে এসব পিঠার কথা। তবে ক্যাম্পাসে এ ধরনের পিঠার আয়োজন সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। এসব তৈরি পিঠা খেয়ে প্রসংশা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তাইতো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেই ক্যাম্পাসে পিঠার স্বাদে জমে উঠে প্রাণবন্ত আড্ডা।