উষ্ণতা ছড়াচ্ছে স্বপ্নবাজ তরুণরা

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

মো. উমর ফারুক
চারদিকে হাড় কাঁপানো কনকনে শীত সঙ্গে তীব্র কুয়াশা। বইছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। মাঘ মাসে সারাদেশে যেমন শীতের প্রকোপ বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের দুর্ভোগ। এমন বৈরী আবহাওয়ায় থেমে নেই মানুষের জীবনযাত্রা। জীবিকার তাগিদে ছুটছে তারা। তাদের মধ্যে অনেকের গায়ে নেই শীতের গরম কাপড়। দেশের শহর কেন্দ্রিক জায়গাগুলো বিত্তবানদের শীতবস্ত্র বিতরণের হাত থাকলেও বঞ্চিত থেকে যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের মানুষগুলো। তারা সরকার বা প্রশাসন থেকে পায় না কোনো ধরনের সহযোগিতা। এসব অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়ার বাকতা ইউনিয়নের উদ্যমী স্বপ্নবাজ তরুণরা। যারা নিজ উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে কম্বল ও চাদর ক্রয় করে বিলিয়ে দিচ্ছে অসহায় মানুষের মাঝে। 'আমরা মানবতার সেবক' এই স্স্নোগানকে সামনে রেখে 'অগ্রগামী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন' গড়ে তোলে একঝাঁক তরুণ। তাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমে শীতার্ত মানুষের মাঝে ভ্যানে করে কম্বল ও চাদর নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে ঘুরেঘুরে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে তরুণরা। গত কয়েকদিনে তারা প্রায় ২৯০ জন অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ করা এসব বস্ত্র দেয়া হয়েছে যারা অধিকাংশই বিধবা, বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা, প্রতিবন্ধী এবং এতিম-অসহায়। জানতে চাইলে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ফিরোজ খান বলেন, এ এলাকা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। বিবেকের তাড়না থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করতে তরুণরা কাজ করে যাচ্ছে। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতেও এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের সমন্বয়ক আব্দুস সালামের মতে, মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। মূলত এ কথাটা থেকেই আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমাদের অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করে এলাকার বিত্তশালী, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা। ভবিষ্যতে আমরা সমাজের বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে সমাজের সেবা করব। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এভাবেই স্বপ্নবাজ তরুণরা কাজ করে যাচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে, কাজ করে যাচ্ছে দেশের হয়ে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলে তরুণসমাজ প্রতিনিয়ত অসহায় দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। সরকারি কিংবা বিত্তশালীদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে তাদের এ কাজগুলো এগিয়ে নিতে সহজ হবে বলে মনে করছেন স্বপ্নবাজ তরুণরা।