নতুন ভাবনা, নতুন সময়

সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে সামনে পথচলায় অগ্রসর হয়। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা নিজেদের নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে গুছিয়ে নিচ্ছেন। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার পুরোটা শুনে পাঠকদের জন্য চুম্বক অংশ লিখেছেন

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনিক আহমেদ
সময়ের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। স্বপ্ন কেউ ছোট করে দেখে না। স্বপ্ন অনেক বড়, কিন্তু সেটা পূরণের জন্য প্রয়াস কতটুকু? বড় তো মানুষের একদিনে হয় না। প্রতিদিন একটু একটু করেই বেড়ে ওঠে। সাকিব আল হাসান তো একদিনে ক্রিকেট খেলা শিখে যাননি, বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রমেই তিনি আজকের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সময় জিনিসটা অসম্ভব মূল্যবান, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের জন্যই দিনে ২৪ ঘণ্টা, এ সময়টুকু কিভাবে ব্যয় হচ্ছে তা দিয়েই অন্যদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য তৈরি হবে। নতুন বছরে কিছু ভালো অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। আসলে আমাদের প্রত্যেকের ভেতরেই একটা বারুদ আছে। নতুন বছর আসার সঙ্গে সঙ্গে সবার ভেতরের ছাইচাপা বারুদটা বের করে আনতে হবে নতুন প্রত্যয়ে, জ্বালিয়ে দিতে হবে দাউদাউ করে যত গস্নানি, ব্যর্থতা আর হাহাকারের জঞ্জাল। ওই যে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে পূর্ব দিগন্তে রক্তলাল সূর্য উঠবে, আর ঘাসের উপর শিশিরবিন্দু মুক্তার মতো জ্বলজ্বল করবে, আর আকাশে পাখির ঝাঁক নতুনের আহ্বান ঘোষণা করবে। সবাই যেন সমস্বরে বলে উঠবে, 'নতুন বছরে জেগে ওঠো নতুন উদ্যমে!' শামীম জয় মার্কেটিং বিভাগ, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনামাফিক এগোতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রতিটি সেকেন্ডকে গুরুত্বপূর্ণ ভেবে কাজ করতে হবে। অন্য কারো কাছে নিজের মতো করে ভাবার আশা না করাটাই ভালো। কারণ পৃথিবীর সব মানুষের চিন্তাধারা আলাদা। সব মানুষেরই চাহিদা থাকবে আর সময়ের সঙ্গে চাহিদা বৃদ্ধিও পেতে থাকে। তবে তা অবশ্যই সীমার মধ্যে থাকাটা জরুরি। সর্বদা নিজেকে ভালোবাসতে হবে। কারণ, যে নিজেকে ভালোবাসতে পারে না সে অন্যকে ভালোবাসতে পারবে না, তার কল্যাণে কাজ করতে পারবে না। নিজেকে ভালোবাসার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দেয়া অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। কারণ সুস্থ দেহ মানুষকে সৃজনশীল করে তোলে। কোনো কাজে হাল ছেড়ে দেয়া বা আশাহত হওয়া যাবে না। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে লেগে থাকাটা জরুরি। নেগেটিভ চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে পজিটিভ চিন্তাভাবনায় মনোনিবেশ করতে হবে। এই কাজগুলো সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে করতে পারলে আমাদের সাফল্য খুব একটা দূরে চলে যেতে পারবে না। মো. রুহুল আমিন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ। দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করতে হবে সময় যেন দ্রম্নত গতিশীল হয়ে উঠেছে। কেমন যেন মনে হচ্ছে, এই তো ক'দিন আগেই তো একটা বছর শুরু হয়েছিল! এত দ্রম্নত কীভাবে সময় আমাদের পেরিয়ে যাচ্ছে তা যেন ঠিক বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে পালস্না দিতে গিয়ে আমরা অনেকেই হাঁপিয়ে উঠছি। আবার অনেকেই সময়কে পেছনে ফেলে দিয়ে পূর্ণ উদ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। নিজের প্রতি যার ভালোবাসা আছে, দায়বদ্ধতা আছে সমাজ ও দেশের প্রতি, যিনি কিছু দিতে চান পৃথিবীবাসীকে, সময় নামক ফ্রেমে তাকে আটকে রাখা কঠিনই বটে। তিনি তার অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে চলেন। শাবনাজ শিকদার ফার্মেসি বিভাগ, গণবিশ্ববিদ্যালয়। দেশের জন্য তরুণদের সর্বোচ্চ ত্যাগী হতে হবে পড়াশোনার পাশাপাশি রেডিওতে কাজ করার সুবাদে প্রতিটা ঘণ্টা, দিন, মাস এবং নতুন বছর আমার কাছে ভিন্নমাত্রার তাৎপর্য বহন করে। বর্তমানের সঙ্গে তাল মিলানোর জন্য ইংরেজি নববর্ষের হিসাব করাই বাঞ্ছনীয়। ব্যক্তিগতভাবে প্রতি ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিকে ছোট ছোট ডেডলাইন দিয়ে অসংখ্য পরিকল্পনা করে রাখি। নিজের দক্ষতা বৃদ্বির জন্য কাজ করি? বিগত বছরের হওয়া ভুলগুলো পুনরায় না হওয়ার জন্য নিজের ওপর সচেতনভাবে খেয়াল রাখি। সর্বোপরি কর্মদক্ষতা ও মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য নিজের ধর্ম মোতাবেক চলা ও বই পড়ার চেষ্টা করি। এ তো গেল নিজের চিন্তা! মিডিয়াতে কাজ করার কারণে সারাদেশের অবস্থার একটা গড়পড়তা বর্ণনা জেনে যাই খুব সহজে। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার আশপাশের তরুণদের নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করার চেষ্টা করি। রিয়াজ হোসাইন ব্যবসায় প্রশাসন (প্রফেশনাল) বিভাগ হাবিবুলস্নাহ বাহার কলেজ, ঢাকা। অতীতের ভুলত্রম্নটি কাটিয়ে উঠতে হবে জাতির এগিয়ে চলার যাত্রাপথে এক নতুন অধ্যায়। নতুন বছরে প্রত্যাশা, নতুন অধ্যায় যেন পূর্ণ হয় সব শুভ এবং আনন্দে ভরা সব গল্প দিয়ে। বিগত দিনের অপূর্ণতা ও কষ্ট, গস্নানি, চোখের পানিগুলো যেন এই পবিত্র নতুন আগামীকে স্পর্শ না করে। নতুন বছরটা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বর্ণিল সময় হিসেবে যুক্ত হোক, সেই কামনা করি। যে সময়ে বাংলার তরুণ প্রজন্ম স্ব-মহিমায় ভাস্বর হয়ে দেশের কল্যাণে অবদান রাখবে ও বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মাথা গর্বের সঙ্গে আরও উঁচু করতে পারবে। পরিশেষে কামনা করি, সব ধরনের স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন বছর বাঙালির জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি। সুন্দর হোক সবার আগামী সময়। মো. সামিউল বাশার কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন চাই বাঙালির উৎসব মানে পান্তা ইলিশের গন্ধে মোড়ানো পাড়ার ব্যবসায়ীর হালখাতার পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হলেও ব্যবহারিক জীবনে ইংরেজি নববর্ষই বহুল প্রচলিত। কৃষিকাজের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে মানুষের প্রবেশ যতই বাড়ছে এর ব্যবহারও তত বাড়ছে। সে যায় হোক, পুরনো দিনের ব্যর্থতা, গস্নানি, হতাশা মুছে দিয়ে নতুন বছরের সূর্যোদয় শুভ সংবাদ নিয়ে হাজির হবে- এই প্রত্যাশাতেই সবাই পরবর্তী সকালের বীজবপন করে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে সারা বছর ধরে চলা দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি নিউজে ভর্তি দিনটাতেও আমরা আশায় থাকি আগামীকাল সকালে একটা ভালো খবর দেখব বলে। মুস্তাফিজ পিন্টু ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।