ই স লা মী বি শ্ব বি দ্যা ল য়

বাহারি ফুলের ক্যাম্পাস

প্রকাশ | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ইরফান রানা
ইট পাথরে গড়া ভবনের সঙ্গে গাঢ় সবুজ প্রকৃতি। এই প্রকৃতির মাঝে দু্যতি ছড়াচ্ছে রং- বেরঙের বাহারি ফুল। হৃদয় কাড়া ফুলের মনমাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই। ফুলের সৌন্দর্য ব্যঞ্জনায় যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। সারা বছর নানা প্রজাতির ফুলে সুশোভিত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শীতকালে এ সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। পিচঢালা পথের দুই ধার, বিশ্ববিদ্যালয় লেক এলাকা, বিভিন্ন চত্বর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অফিস এবং একাডেমিক ভবনের সামনে শোভা পাচ্ছে নানা প্রজাতির ফুল। এদের মধ্যে গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, গোলাপ, রঙ্গন, জারবিরা, জবা, ঝাউ, হাসনাহেনা এবং বেলি অন্যতম। এ ছাড়াও নয়ন, চন্দ্রমলিস্নকা, মোরগ ঝুটি, কসমস, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি, ক্রিসমাস ও পাতাবাহারসহ নানা জাতের ফুল প্রশাসনের উদ্যোগে লাগানো হয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা ক্যাম্পাসের এই সৌন্দর্য উপভোগ করে। শত সৌন্দর্যের হাতছানিতে প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে ক্যাম্পাস যেন এক স্বর্গপুরীতে পরিণত হয়েছে। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কেউ ছবি, কেউ সেলফি, কেউবা গ্রম্নপ ছবি তুলতে ভিড় জমায়। 'টুকটুকে লাল গোলাপের উপর শিশির বিন্দুর ফোটায় সূর্যের আলোর ঝলকানি হৃদয়ে দোলা দেয়। মায়াভরা রূপ দেখে বিমোহিত হই। মনে হয় কোনো এক স্বপ্নের রাজ্যে বাস করছি। প্রতিদিন খুব সকালে বান্ধবিরা মিলে হল থেকে বের হয়ে এই সৌন্দর্য উপভোগ করে বলে জানান শিক্ষার্থী রুবিনা, মিমি, ইতি, পিংকি ও তিষা। 'অফিসের কাজের ফাঁকে বাইরে বের হই। ক্যাম্পাসে ফুলে ভরা নয়নাভিরাম প্রকৃতি উপভোগ করি। এই সৌন্দর্য মনে শত দুঃখ-কষ্ট থাকলেও তা মুছে দেয়। মনটা ভালো হয়ে যায়। ভালো অনুভব করি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের নার্স মমতাজ বেগম। এ ছাড়াও বিশেষ করে নজর কাড়ে ক্যাম্পাসের প্রকৌশল অফিসের দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগান। অফিসের পাশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামানের নিজ তত্ত্বাবধান ও অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছে এ বাগান। এর আশপাশের এলাকায় প্রায় ৪২ প্রজাতির ফুল চাষ করা হয়েছে। এসব ফুল ক্যাম্পাসের পরিবেশকে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান জানান, 'আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে বাইরে ঘুরতে যেত। ক্যাম্পাসের পরিবেশ মনোরম এবং আকর্ষণীয় করতে ফুল বাগান গড়ে তুলেছি। এখন অনেকেই অবসরটা ক্যাম্পাসে কাটায়। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসে।