সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কলেজগুলোতে আনন্দর্ যালি য় ক্যাম্পাস ডেস্ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজে একযোগে ১৭ মার্চ আনন্দর্ যালি বের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে বার্ষিক বিশেষ সিনেট অধিবেশনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সিনেট অধিবেশনের শুরুতেই গত এক বছরে দেশে ও দেশের বাইরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মৃতু্যবরণ করেন তাদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। এরপর উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ তার অভিভাষণে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে- ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে সারাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজে একযোগে আনন্দর্ যালি, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ২টি গ্রন্থ প্রকাশনা ও বিশেষ সেমিনার আয়োজনসহ আরও নানা কর্মসূচি। এ ছাড়াও মাননীয় উপাচার্য তার অভিভাষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা কার্যক্রমের অগ্রগতি, শিক্ষার মানোন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপ, কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে গৃহীত সিইডিপি প্রকল্পের অগ্রগতি, আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি, ২০২০ সালের শেষের দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখসহ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। ইবিতে বাল্যবিবাহ বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ মুনজুরুল ইসলাম নাহিদ নাদান একজন মানসিক রোগী। যার পিতা সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। নাদানের পিতা তার ক্ষমতা বলে ঘটক ও কাজির সহায়তায় দরিদ্র কৃষকের নাবালিকা মেয়ে টিয়ার সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেন নাদানের। বিয়ের পর নাদানের পরিবার টিয়াকে কাছে না নিয়ে অকারণেই তার ওপর চালায় অমানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে টিয়া। তারপরেও উপযুক্ত চিকিৎসা না করে উল্টো অপবাদ দিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় নাদানের পরিবার। সমাজের প্রভাবশালী শ্রেণির দ্বারা দরিদ্রদের নির্যাতন, যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহের এ চিত্র ফুটে উঠেছে 'নাদানের বিয়ে' নামক নাটকে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রম্নয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের প্রযোজনায় সমাজের এ শ্রেণি বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে এর প্রতিবাদ করেন থিয়েটার কর্মীরা। এনামুল হকের দিকনির্দেশনায় নাটকটির সার্বিক তত্ত্ব্বাবধানে ছিলেন থিয়েটারের সভাপতি অনি আতিকুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠিত বৈজয়ন্তী উৎসবে নাটকটি পরিবেশিত হয়। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন থিয়েটারের সদস্য নিশাত আনজুম, পিয়াস, লাবণ্য, এনামুল, তন্ময় সেন, মুঈদ, ফাহিম, সুজন, রেজওয়ান, নাহিদ। নাটকটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন থিয়েটারের সভাপতি অনি আতিকুর রহমান। এর আগে মঞ্চে বৈজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে নৃত্য, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে থিয়েটারের সদস্যরা। জবিতে দিনব্যাপী সাংবাদিকতা বুনিয়াদি কর্মশালা য় ক্যাম্পাস ডেস্ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) উদ্যোগে বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী সাংবাদিকতা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১৫ ফেব্রম্নয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। দিনব্যাপী আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৫০ জন শিক্ষার্থী কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালার 'সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা' বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম বিন হারুন, 'ক্রীড়া সাংবাদিকতা' বিষয়ে একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফাহিম রহমান। 'সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা' বিষয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবরিনা হোসাইন ও যমুনা টেলিভিশনের আখলাকুস সাফা, 'ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা' বিষয়ে গাজী টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক মহিউদ্দিন আহমেদ, 'ফিচার লিখার নিয়ম' বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের প্রভাষক বারেক কাইসার আলোচনা করেন। আয়োজনের শেষে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক সাধারণ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিসি ড. মীজানুর রহমান। আলোচনা সভায় ভিসি বলেন, সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে সংবাদের সোর্স সম্পর্কে সাংবাদিকদের সর্তক থাকতে হবে। যাতে সংবাদ প্রভাবিত না হয়ে, বস্তুনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করা হয়। সবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি ব্যান্ড দল ট্রাভেলার্স ও মনের মানুষ গান পরিবেশন করেন।