রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

অনুসন্ধানী চোখে একঝাঁক তরুণ

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

মো. উমর ফারুক
সমাজের আয়না, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, ওয়াচডগ হিসেবে অভিহিত করা হয় সাংবাদিকতাকে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে সাংবাদিকতার ভূমিকা অনন্য। একটি ঘটনাকে বস্তুনিষ্ঠতার মাধ্যমে সময়োপযোগী তথ্য সবার সামনে তুলে ধরার নামই সাংবাদিকতা। সাংবাদিক হওয়ার আগ্রহ কম-বেশি সবারই থাকে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস ক্লাব। যাকে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা পস্নাটফর্ম বলা হয়। ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিনিয়ত প্রিয় ক্যাম্পাসকে দেশ কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত সংগঠনটির প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক। দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ক্যাম্পাসের লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে থাকা তথ্য সবার সামনে তুলে ধরে সংগঠনটির প্রতিটি সদস্য। যখনই ঘটনা তখনই সংবাদ নৈতিকতার জায়গা থেকে নিরন্তরভাবে সবসময় তটস্থ থাকতে হয় সংগঠনটির সাংবাদিকদের। আড়ালের যে কোনো ইসু্যকে সবার সামনে তুলে ধরে এবং সেটা যথার্থ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে অবিচল থাকেন। এ যেন ক্যাম্পাস প্রতি তাদের বাড়তি দায়বদ্ধতা। ক্যাম্পাসের সফলতার গল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে বদ্ধপরিকর। যার ফলে শিক্ষাঙ্গনে সার্বিক সমস্যাগুলো তুলে ধরে কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে তুলতে সহযোগিতা করে। প্রত্যেকের চিন্তাভাবনাগুলো সৃজনশীলতার ছোঁয়া লেগে থাকে। সৃষ্টিশীল লেখনীর মাধ্যমে ঘটনাগুলো তুলে ধরেন ভিন্ন আঙ্গিকে। সংগঠনটির সাংবাদিকরা সৃজনশীল, অধম্য সাহস, ধৈর্য, প্রজ্ঞা, মেধা, লেগে থাকার মানসিকতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। অনেক সময় সহস্র্র বাধার সম্মুখীন হয়ে সঠিক তথ্যকে সবার সামনে তুলে ধরে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। তা ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রশাসনিক চাপসহ, রাজনৈতিক, আইনগত চাপের মুখে পড়তে হয় তাদের। সংগঠনটির সাহসী রিপোর্টাররা ভয়কে জয় করে ছুটে চলে অদম্য গতিতে। এভাবেই শত বাধাকে উপেক্ষা করে সত্যকে বের করে আনার প্রয়াসে অনুসন্ধানে ছুটে চলা। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে ঠেলে সত্য ও বৈচিত্র্যময়, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার ধারাবাহিকতাকে টিকিয়ে রেখেছে ক্যাম্পাসের একঝাঁক সাংবাদিক। সংগঠনটির সদস্যরা নিজের মেধা, প্রজ্ঞাকে কাজে লাগিয়ে বস্তুনিষ্ঠতায় মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা।