ই স লা মী বি শ্ব বি দ্যা ল য়

বসন্তে বাহারি ফুলের ছোঁয়ায় শোভিত ক্যাম্পাস

ফুল নাকি ভালোবাসার প্রতীক। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফুলকে ভালোবেসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান- যা ১৭৫ একরের সবুজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আরও হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

আজাহার ইসলাম
'সবুজে আচ্ছাদিত আমাদের এ ক্যাম্পাস। কোকিল ডাকা বসন্তে বাহারি ফুলে শোভা বেড়েছে বহুগুণে। ১৭৫ একরের এই সবুজ ক্যাম্পাস এখন সবুজ বৃক্ষ আর ফুলে ফুলে ভরা। যার অপরূপ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করে চলেছে নিরন্তর। রাস্তার দু'ধারে ফুটে থাকা নানান রং-বে-রংয়ের ফুল। মাঝে মাঝে মনে হয় ক্যাম্পাসে নয়, যেন হাঁটছি ফুলবাগানে।' ঠিক এভাবেই ক্যাম্পাসের ফুল সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন রেজা। এরকম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বামে তাকালে আপনিও ভুলবশত ভাবতে পারেন যে, ফুলের বাগানে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু না। এটি কোনো ফুলের বাগান নয়। এটি স্বাধীন বাংলাদেশে স্থাপিত দেশের প্রথম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফুল সম্পর্কে জানতে ঘুরতে আসা ব্র্যাক ব্যাংকে কর্মরত ও ইবির সাবেক শিক্ষার্থী ফিরোজুর রহমান তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, '১৭৫ একরের ক্যাম্পাস আমার একটি ভালোবাসার জায়গা। ছুটি পেলে প্রায়ই আমি পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। আমাদের সময়ে ক্যাম্পাস এতটা সুসজ্জিত ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।' ফুল নাকি ভালোবাসার প্রতীক। ফুল ভালোবাসেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফুলকে ভালোবেসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের বাগান- যা ১৭৫ একরের সবুজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আরো হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্যাম্পাস সেজেছে বাহারি সাজে। ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, চিকিৎসা কেন্দ্র, মফিজ লেক, বিভিন্ন অনুষদ ভবন, বিভিন্ন আবাসিক হল ছেয়ে গেছে ফুলে ফুলে। ফুটেছে নানা প্রজাতির ফুল। এদের মধ্যে হরেক রকম প্রজাতির গাঁদা, ডালিয়া, গোলাপ, হাসনাহেনা, কসমস, সূর্যমুখী, জবা, জুঁই, চামেলি, টগর, বেলি উলেস্নখযোগ্য। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রাঙ্গণ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। ফুল ছাড়াও ঋতুরাজ বসন্তের ছোঁয়ায় ক্যাম্পাস সেজেছে ভিন্ন সাজে। গাছে গাছে বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির ডাক। ক্যাম্পাসের মফিজ লেকে অতিথি পাখির আনাগোনা বিমোহিত করে দর্শনার্থীদের। নয়নাভিরাম এই মনমুগ্ধকর দৃশ্য তাকিয়ে থাকার মতো। বিকাল হলেই যেন মেলা বসে ক্যাম্পাসে। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে যেন হারিয়ে যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রেমিক-প্রেমকারা। এ ছাড়াও দেখা যায় ছুটির দিনে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের আনাগোনা। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আলিমুজ্জামান টুটুল নিজ উদ্যোগে প্রকৌশল অফিসের সামনে গড়ে তুলেছে ফুলের বাগান। যা ইতোমধ্যে অনেকের নজর কেড়েছে। পেয়েছে বিভিন্ন মহলের প্রশংসা। এ বিষয়ে তিনি জানান, 'আমি প্রকৌশল অফিসের দায়িত্ব পেয়ে ভাবলাম ক্যাম্পাস আরো সুন্দর করে সাজানোর ভাবনা মাথায় আসে। মূলত শখের বশেই এই বাগান তৈরি করা। নিজ উদ্যোগে প্রকৌশল অফিসের সামনে ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন যায়গায় প্রায় ৪২ প্রজাতির ফুল লাগিয়েছি।'