ই স লা মী বি শ্ব বি দ্যা ল য়

করোনা নিয়ে কী ভাবছেন শিক্ষার্থীরা!

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২০, ০০:০০

আজাহার ইসলাম
জাতিসংঘ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসকে মহামারি বলে ঘোষণা দিয়েছে। এই ভাইরাসে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। মিডিয়ায় এখন প্রধান শিরোনাম করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। চায়ের কাপ থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভা পর্যন্ত আলোচনার শীর্ষে করোনাভাইরাস। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও করোনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে কী ভাবছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনন্যা রহমান বলেন, 'প্রতিদিন পত্রপত্রিকা খুললেই দেখি প্রধান শিরোনাম করোনাভাইরাস। শুধু পত্রিকায়ই দেখা যায় এমন নয়। টিভি খুলে বসলে এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও আলোচনার শীর্ষে করোনা। পুরো বিশ্বে এ ভাইরাসে আতঙ্কিত নয় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। করোনা প্রতিকার করতে না পারলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করা উচিত। পাশাপাশি আতঙ্কগ্রস্ত জনগণের কাছে এ ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদেরই।' ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল প্রযুক্তি বিভাগের নুর উদ্দীন বলেন, 'বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার যে প্রভাব পড়েছে একে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যদি আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যদের সচেতন করি তাহলে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এখন পর্যন্ত নভেল করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে গরম পড়ে গেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে ২২ থেকে ২৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় করোনা বাঁচতে পারে না। তবুও সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত নই আমরা।' বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাদিয়া আক্তার বলেন, 'জৈবপ্রযুক্তি এবং জিন প্রকৌশল বিভাগে পড়ার সুবিধার্থে নানারকম জার্নাল এবং নিউজ ঘেটে সম্প্রতি বিশ্বে বিস্ফোরণ ঘটানো ভাইরাস 'করোনা' নামে পরিচিত 'কোভিড-১৯' সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই জিন ৩৮০ বার নিজের জিন মিউটেশন ঘটিয়ে প্রতিটি প্রতিকূল অবস্থা অতিক্রম করে পরিবেশে টিকে আছে। তাই, 'বাংলাদেশের আবহাওয়া এই ভাইরাসের বংশবিস্তারের জন্য অনুকূলে নয়' ভেবে বসে থাকাটা মোটেও সুখকর বলে মনে করি না। বাংলাদেশে এই ভাইরাসের আক্রমণ মারাত্মক হওয়ার আগেই সরকারি এবং বেসরকারিভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ মানুষের দাবি। পাশাপাশি ভাইরাস থেকে নিজেকে ও মানবদেহকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ইত্যাদি দ্রব্যের বাজারমূল্য যেন স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টিপাত হোক সেটাই আশা করি। \হআমাদের দুর্বলতায় যেন সুবিধাবাদীদের মুনাফার ভাগ বাড়িয়ে না দেয় সে ব্যাপারে নিজেরা সচেতন হই। আসুন, নিজে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকি। আশপাশের মানুষকে সুস্থ রাখি।' বাংলা বিভাগের ওয়াহিদা খানম আশা বলেন, 'বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূল আলোচ্য বিষয় করোনাভাইরাস। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসকে নিয়ে। অনেকে ছড়াচ্ছে নানা ধরনের গুজবও। যেহেতু এটি সংক্রামক ব্যাধি, একজনের থেকে অন্য জনের হয়ে থাকে, তাই অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতীব জরুরি।' উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মোজাম্মেল হোসেন বলেন, 'প্রাণঘাতি করোনার মিছিল বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। শুধুমাত্র মহামারি নয়। এ ভাইরাস বিশ্ব মহামারিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৃষ্টি করেছে করোনা। অতিক্ষুদ্র জীবাণু হলেও এর ভয়াবহতা অনেক। করোনা একটি সংক্রামক ব্যাধি। হাঁচি-কাশি এমনকি কারো সঙ্গে হাত মিলালেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। করোনা প্রতিরোধে আমাদের দেশে যথেষ্ট উপকরণ নেই। একমাত্র জনসচেতনতাই পারে এই রোগ থেকে বাঁচাতে।'