ঢাকা কমাসর্ কলেজ

তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার উদ্যোগ

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

রায়হান শরীফ
ঢাকা কমাসর্ কলেজে স্বেচ্ছায় রক্তদান কমর্সূচি
নতুন ও তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে জাতির পিতার বলিষ্ঠ সম্পকর্ তথা ভ‚মিকা প্রসঙ্গে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা প্রত্যেকটি পরিবারের মহান দায়িত্ব। তা না হলে নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সঠিক, সুস্পষ্ট ইতহাস থেকে বঞ্চিত করা হবে এবং এই দায় আমাদের ওপরই বতাের্ব ও তারা আমাদের ক্ষমা করবে না। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাতবাষির্কীতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা কমাসর্ কলেজ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মাচের্র ১৮ মিনিটের ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসীকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝঁাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। একটি ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে দল-মত নিবিের্শষে সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফ‚তর্ যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্বাধীন দেশের জন্মলাভ বিশ্ব ঐতিহ্য রেকডর্ অজর্ন করেছে। গত ১৫ আগস্ট ২০১৮ ঢাকা কমাসর্ কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দৈনিক জাগরণ পত্রিকার সম্পাদক আবেদ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ গভনির্ং বডির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। স্বাগত ভাষণ দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু সাইদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ প্রশাসন প্রফেসর মো. শফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা একাডেমিক প্রফেসর মো. মোজাহার জামিল ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহŸায়ক এসএম আলী আজম। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের পূবের্ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নিমির্ত চলচ্চিত্র ‘পলাশী থেকে ধানমÐি’ প্রদশির্ত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কমর্ নিয়ে ছবি ও চিত্র প্রদশর্নী এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ঢাকা কমাসর্ কলেজ আটর্স অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব। কলেজের সমাজকল্যাণ ক্লাব আয়োজিত রক্তদান ও বøাডগ্রæপিং কমর্সূচি উদ্বোধন করেন ইব্রাহিম কাডির্য়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসাচর্ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিবার্হী কমর্কতার্ ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর ডা. এম. এ. রশীদ। প্রধান অতিথির ভাষণে বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আবেদ খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশদ্রোহীদের চক্রান্তে সবর্কালের সবের্শ্রষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নৃশংসভাবে নিহত হন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে চক্রান্তকারীরা মূলত বাংলাদেশকেই হত্যা করার হীন চেষ্টা চালায়। পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মিলে এ দেশের রাজাকাররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য বাংলাদেশ করতে চেয়েছিল। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যোগ্যতা ও শক্তি অজর্ন করতে হবে। উল্লেখ্য, ঢাকা কমাসর্ কলেজ বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ১৯৯৬ ও ২০০২ সালে জাতীয় পযাের্য় শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ র‌্যাংকিং ২০১৫ ও ২০১৬-এ ঢাকা কমাসর্ কলেজ দেশের সেরা বেসরকারি কলেজের মযার্দা লাভ করেছে। বোডর্ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অত্র কলেজের ফলাফল সকলের কাছে ঈষর্ণীয়। উচ্চ মাধ্যমিক পযাের্য় গড় পাশের হার ৯৯.৭৭%। এ কলেজে বতর্মানে অধ্যয়ন করছে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাথীর্।