টংসা প্রজাপতি

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
লাইসিনিডি পরিবারভুক্ত এ প্রজাপতিটির ইংরেজি নাম কমন টিট (ঈড়সসড়হ ঞরঃ) আর বৈজ্ঞানিক নাম ঐুঢ়ড়ষুপধবহধ বৎুষঁং (এড়ফধৎঃ). ডানার বিস্তার মাত্র ৩২-৩৬ মিলিমিটার। এদের নিচের পিঠ ধূসর খয়েরি। ডানার খেঁাপ শেষ হয়েছে গায়ে গায়ে সমান্তরাল আর সমান একজোড়া রেখায়। ডানার অঁাচলে একটি সরু কমলা পটি, তাতে দুই পাশ থেকে সরু সাদার বেড়া দেয়া। সামনের ডানার পটি সুগঠিত ও অবিচ্ছিন্ন। পিছনের ডানায় ভাঙা ভাঙা, সরে যাওয়া কতকগুলো খÐ রয়েছে। দুটি ‘চোখ’ চিহ্ন রয়েছে। ওপরের চোখটি কমলায় ঘেরা কালো রঙের। নিচের চোখটিও কালো, তবে কমলা ছোপ নেই, সরু সাদার বেড়া ভেতর দিকে। ওপর-পিঠ গাঢ় খয়েরি বা কালচে খয়েরি। পুরুষ প্রজাপতিটির এই খয়েরি রং ছাপিয়ে ওঠে গুঁড়ো নীল-ঘষা ঔজ্জ্বল্য। রংটি কতটা উজ্জ্বল দেখাবে তা নিভর্র করে কোন দিক থেকে আলো আসছে তার ওপর। ডানার পাড়ে কোনো নীল রং দেখা যায় না। শীষের্র দিকে এই কালচে খয়েরি পাড় কিছুটা চওড়া হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া সামনের ডানায় মাঝ-অঁাচলে, খেঁাপটা ছাড়িয়ে ঠিক বাইরে ও খানিকটা নিচের দিকে কিছুটা অংশে কোনো নীল নেই। স্ত্রী প্রজাপতির ওপরের পিঠে নীল রং থাকে না। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুলাই এবং সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পযর্ন্ত এ প্রজাপতিটি দেখতে পাওয়া যায়। পুরুষ প্রজাপতিদের ভেজা মাটির কাছাকাছি বেশি দেখা যায়, স্ত্রী প্রজাপতিটি কদাচিৎ চোখে পড়ে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের সিকিম থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ ও আন্দামান পযর্ন্ত এবং নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে টংসা প্রজাপতি দেখা যায়।