জীবজন্তুর নামকরণ

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
বিভিন্ন জীবজন্তু বিভিন্ন কারণে তাদের নিজ নিজ নাম পেয়েছে। কেউবা পেয়েছে তাদের আকৃতির জন্য আবার কেউবা পেয়েছে তাদের অদ্ভুত আচার-আচরণের জন্য। ‘হিপ্পোপোটামাস’ (ঐরঢ়ঢ়ড়ঢ়ড়ঃধসঁং-জলহস্তীজাতীয় প্রাণী) নামটি আসলে একটি বণর্নামূলক নাম। গ্রিক ভাষায় ‘হিপ্পো’ কথার অথর্- অশ^ (ঐড়ৎংব) আর ‘পোটামাস’ কথার অথর্- নদী (জরাবৎ)। সুতরাং ‘হিপ্পোপোটামাস’ হলো ‘নদীর অশ^’। ‘রাইনোসারোস’ (জযরহড়পবৎড়ং-গÐার) কথাটিও এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে। গ্রিক ভাষায় ‘রাইনোস’ অথর্ হলো নাক (জরহড়ং) আর ‘কেরাস’ (ঘড়ংব) অথর্ হলো শিং (কবৎধং)। যেহেতু এই প্রাণীর নাকের ওপর শিং থাকে, সেহেতু এর নাম হয়েছে ‘রাইনোসারোস’। ল্যাটিন শব্দ ‘লিওপাডর্স’ (খবড়ঢ়ধৎফঁং) থেকে উদ্ভূত হয়েছে ‘লিওপাডর্’ (খবড়ঢ়ধৎফ) কথাটি। কোনো কোনো প্রাণীর নামে আঞ্চলিক প্রভাব বা বৈশিষ্ট্য জড়িত। উদাহরণস্বরূপ- ‘ক্যামেল (ঈধসবষ-উট) কথাটি এসেছে আরবি শব্দ ‘গ্যামেল’ (এধসবষ) থেকে। তেমনি ‘জিরাফ’ (এরৎধভভব) কথাটিও আরবি শব্দ ‘জিরাফোহ্’ (তরৎধভড়য) থেকে নেয়া হয়েছে, যার অথর্ হলো- ‘লম্বা গলা’ ‘উল্্ফ’ বা নেকড়েকে দেখতে খেকশিয়ালের মতো বলে ওর ওই রকম নাম হয়েছে। তবে জীব-জন্তুর সংখ্যা এত বেশি যে প্রত্যেকটি জীব-জন্তুর নামের উৎসের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়।