কাজলাদীঘির স্বচ্ছ জলে পদ্মফুলে ভাসে,
ওদের সাথে ভাব জমিয়ে শাপলা কুঁড়ি হাসে।
গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে ছন্দে অলি নাচে,
মিষ্টি সুরে কী কথা কয় কানের কাছে কাছে।
ভরদুপুরে রোদের আলো মাথার ওপর বেলা,
ডুবসাঁতারে পাতিহাঁসে খেলতে থাকে খেলা।
এদিক ছোটে ওদিক ছোটে চলতে থাকে ঝাঁকে,
ভিজিয়ে শরীর আরাম খোঁজে চলার ফাঁকে ফাঁকে।
তপ্ত হাওয়ার হয় অবসান বিকেল যখন নামে,
সতেজতা ফিরে আসে কলমিলতার দামে।
স্নিগ্ধ মধুর সাঁঝবেলাতে সবুজ পাতার হাসি,
রূপের শোভা দেয় ছড়িয়ে অঢেল রাশি রাশি।
আকাশ গাঙে রুপোলি চাঁদ জ্বালায় রংয়ের বাতি,
দীঘির বুকে বিলিয়ে আলো সাজে ওদের সাথী।
ফুলদীঘির চাঁদ পাখি অলি কেমন দেখো ভালো,
বন্ধু হয়ে মিশে চলে,মুখ করে না কালো।