সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলা নববর্ষ হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রম্নয়ারি বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধায়নে ড. মুহম্মদ শহীদুলস্নাহর নেতৃত্বে বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিলকে স্থায়ীভাবে বাংলা নববর্ষ শুরুর দিন হিসেবে ঠিক করা হয়। আবার বিভিন্ন নক্ষত্রের নাম থেকে বাংলা সনের মাসগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, বিশাখা থেকে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠা থেকে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদা থেকে ভাদ্র, অশ্বিনী থেকে আশ্বিন, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রাইহন থেকে অগ্রহায়ণ, পুষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনী থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নববর্ষ পালনের রীতিনীতি কিন্তু এক নয়। কিছু কিছু মিল থাকলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানের সঙ্গে যোগ হয় দেশীয় ঐতিহ্য। মঙ্গল শোভাযাত্রা হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক বাঙালির চিরাচরিত এ আয়োজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রিয় শিশুদের নিয়ে আসে অভিভাবকরা। শিশুদের তুলতুলে গালে বিভিন্ন রঙের নকশায় আঁকা তুলিতে ভিন্ন রূপ ধারণ করে বৈশাখি উৎসব। নববর্ষকে ঘিরে ক্যাম্পাসে জমে ওঠে ছোট ছোট বিভিন্ন ব্যবসা। বিভিন্ন ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। ফেরিওয়ালারা এখানে-সেখানে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে মাথার শোভা বাড়ানো কাগজের মুকুট, টুপি, ব্যান্ড ইত্যাদি। ঢাকার পহেলা বৈশাখের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের আরেক আকর্ষণ 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'। প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজিত হয় ১৯৮৯ সালে। এখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ তখন ছিল চারুকলা ইন্সটিটিউট। সেই চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ও আয়োজনেই পহেলা বৈশাখের সকালে এই শোভাযাত্রাটি বের হয়। তারপর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার তা ফিরে আসে চারুকলায়। আর সে শোভাযাত্রায় রং-বেরঙের মুখোশে আর বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিমূর্তি দিয়ে একেক বছর তুলে ধরা হয় আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। একেক বছর এই শোভাযাত্রার জন্য একেক থিম বেছে নেয়া হয়। কোনো বছর থিম রাখা হয় হাতি, কোনো বছর কুমির, কোনো বছর বাঘ। আবার কখনো এ শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিবাদও জানানো হয়। মশার প্রজাতি হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক পৃথিবীতে ৩ হাজার ৫০০ প্রজাতির মশা রয়েছে, যার প্রায় ১৭৫টিই দেখা যায় আমেরিকায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যত মশা কামড় দেয় তার সবই স্ত্রী-জাতীয় মশা। যদিও পুরুষ ও স্ত্রী উভয় মশাই ফল ও পাতার নির্যাস গ্রহণ করে। কিন্তু বাচ্চা উৎপাদন করতে স্ত্রী মশার প্রয়োজন প্রোটিনের। আর তা তারা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর রক্ত শোষণ করে পায়। তবে মশার কোনো দাঁত নেই। তাদের মুখের সামনের অংশ বরাবর প্রোবোসকিস নামক শুঁড়ের মতো থাকে, যার সাহায্যেই রক্ত খেতে পারে। আবার রক্ত খেয়ে স্ত্রী মশারা ডিম পাড়তে বসে। একটি স্ত্রী মশা একসঙ্গে ৩০০ ডিম পাড়ে এবং কোথাও জমে থাকা পানিই হলো তাদের ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান। নূ্যনতম ১০ দিন পানিতে থাকার পরই কেবল ডিম ফুটে বাচ্চা মশার আবির্ভাব ঘটে। একটি স্ত্রী মশা কখনো কখনো ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচে এবং উপযুক্ত অবস্থায় তারা প্রতি তিন দিন অন্তর ডিম পাড়তে পারে।