সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
খাগড়া প্রজাপতি হাট্টিমাটিম টিম ডেস্ক প্যাপিলিওনিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এ সোয়ালোটেইল প্রজাপতিটির বাংলা নাম খাগড়া প্রজাপতি, ইংরেজি নাম কমন মাইম (ঈড়সসড়হ গরসব) আর বৈজ্ঞানিক নাম ঈযরষধংধ পষুঃরধ (খরহহধবঁং). ডানার বিস্তার প্রায় ৯০-১০০ মিলিমিটার। দুটি আলাদা চেহারার মাইম দেখতে পাওয়া যায়। উভয়েরই পেছনের ডানায়, বিশেষ করে নিচের পিঠে চুন-হলুদ বিন্দুর সারি রয়েছে। স্ত্রী ও পুরুষ প্রজাপতি দেখতে একই রকম। খুব কাছে না এলে খাগড়া প্রজাপতিকে অন্য কোনো প্রজাপতি বলে ভুল করা খুব সহজ। কারণ এ দুটি আলাদা রূপ দুটি আলাদা আলাদা প্রজাপতিকে নকল করে। একটি রূপ হলো 'কাইটিয়া, এটি কমন ক্রো প্রজাপতির মতো। অন্যটি 'ডিসিমিলিস' রূপ, এটি বস্নু টাইগারের মতো, যদিও বস্নু টাইগারের ডানার আকাশি রঙ এ ক্ষেত্রে প্রায় অনুপস্থিত। দূর থেকে ডানার নকশা এবং ওড়ার ভঙ্গির ধরনই মনে সন্দেহ জাগায়। 'কাইটিয়া' রূপটিতে ডানার ওপরের পিঠে খয়েরির ভাগ বেশি। সামনের ডানার বাইরের দিকে দুই সারি মাঝারি মাপের সাদা বিন্দু রয়েছে, পেছনের ডানায়ও তাই, তবে এখানে ভেতরের দিকের দাগগুলো বলস্নমের ফলার মতো। অর্কিডের হরেক প্রজাতি হাট্টিমাটিম টিম ডেস্ক ২৫০০০ হাজারের ও বেশি প্রজাতি নিয়ে অর্কিড হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি গোত্র। অর্কিড বা অর্কিড পরিবার (ঙৎপযরফধপবধব ভধসরষু) হচ্ছে সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি পরিবারের নাম। এরা রঙিন, সুগন্ধি আর বহুলবিস্তৃত হয়। অ্যাস্টারাসি পরিবারসহ, দুটি বৃহৎ পরিবারে বর্তমানে ৮৮০টি গণে ২১,৯৫০ থেকে ২৬,০৪৯টি গৃহীত প্রজাতি আছে। সিংহভাগ অর্কিডই পরাশ্রয়ী, তবে ভূমিজ অর্কিডও আছে, আছে মৃতজীবীও। পৃথিবীর সব মহাদেশেই অর্কিড দেখা যায়। মজার ব্যাপার এই উদ্ভিদগুলোর প্রতিটি ফুল, একটি অন্যটির চেয়ে ভিন্ন, স্বকীয়তা বজায় রাখে এবং সাধারণ উদ্ভিদের ফুলের তুলনায় কাটা অবস্থাতেই দীর্ঘদিন সতেজ থাকতে পারে। ধরুন গোলাপ এবং ডেন্ড্রোবিয়াম ওয়ান-থ্রি-ফাইবের দুটো ফুল আপনি গাছ থেকে ছিঁড়ে নিলেন। কোন ধরনের উপদেয় বা পানি ছাড়া একটি গোলাপ ফুল বড়জোর দুদিন সতেজ থাকবে কিন্তু একটি ডেন্ড্রোবিয়াম ওয়ান-থ্রি-ফাইব কম করে হলেও দশদিন সতেজ থাকতে পারে। আরও মজার বিষয় অর্কিডের জন্য প্রয়োজন হয় না কোন ধরনের মাটি, জৈব সার, কিংবা এমন উপাদান যা স্বাভাবিক উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজন হয়। মহাকাশ-ফেরত বীজ থেকে আশ্চর্য গাছ হাট্টিমাটিম টিম ডেস্ক জাপানের প্রাচীন একটি চেরিগাছের বীজ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়েছিল। পৃথিবীতে সেই বীজের চারাগাছ অত্যন্ত দ্রম্নত বেড়ে উঠে নির্ধারিত সময়ের আগেই অদ্ভুত ফুলের জন্ম দিয়েছে। এ যেন প্রকৃতির নিয়মের থেকেও দ্রম্নতগতিতে চলা। জাপানে চেরিগাছের খুব সমাদর। এই গাছ ও ফুলজাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। নির্দিষ্ট সময় গাছে ফুল ফোটে, তাকে ঘিরে উৎসবও হয়। কিন্তু একটি চারাগাছ যেন সব হিসাব গোলমাল করে দিয়েছে। যে সে গাছ নয়। মহাকাশ ফেরত বীজ থেকে এই গাছের জন্ম। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রায় আট মাস কাটিয়েছিল সেই বীজ। গাছটির আরও কিছু বিশেষত্ব চোখে পড়ার মতো। সাধারণত প্রায় ১০ বছর পর এই গোত্রের চেরিগাছে ফুল ফোটে। অথচ এই আশ্চর্য চারাগাছে চার মাস বয়সেই ফুল ফুটতে শুরু করেছে। তা ছাড়া এপ্রিল মাসেই গাছের উচ্চতা প্রায় ৪ মিটার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাতে আচমকা ৯টি ফুল ফুটেছে। প্রত্যেকটিতে ৫টি করে পাপড়ি। অথচ মূল গাছের ফুলে প্রায় ৩০টি করে পাপড়ি ছিল।