ছাতা এলো কেমন করে

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

হাট্টিমাটিমটিম ডেস্ক
ছাতা ইংরেজিতে আম্ব্রেলা শব্দটি ল্যাটিন শব্দ আম্ব্রা মানে ছায়া। সেই ছায়া থেকে ছাতার উৎপত্তি। ছাতা চেনেন না এমন মানুষ বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছাতা হউক কালো কিংবা রঙিন বৃষ্টির দিনে বিপদের প্রিয় বন্ধু ছাতা। ছাতার বিকল্প হিসেবে রেইনকোট, অ্যাপ্রোণ ইত্যাদি ব্যবহার হলেও ছাতাই বৃষ্টির কবল থেকে শরীরকে বঁাচানোর একমাত্র সহজ অন্যতম মাধ্যম। আবার অনেক ক্ষেত্রে রিকশাচালক, মোটরসাইকেলচালকরা বৃষ্টির দিনে ছাতার বিকল্প হিসেবে রেক্সিনের শাটর্-পেন্ট ব্যবহার করে থাকেন। জানা যায়-সূযর্-উদয়ের দেশ জাপানে বরফের তুষারপাত থেকে বঁাচার জন্য জাপানিরা হামেশা ছাতা ব্যবহার করে থাকেন। শুধু বৃষ্টিতে নয় সূযের্র প্রখর রোদ গরম থেকে বঁাচার জন্য কম-বেশি সবাই ছাতা ব্যবহার করেন। চীন দেশেই প্রথম ছাতার প্রচলন শুরু হয়। পর পর গ্রিস ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে ছাতার ব্যবহার চালু হয়। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ফ্রান্স দেশে প্রথম ভঁাজ করা ছাতার প্রচলন শুরু হয়। অতঃপর ইংল্যান্ডে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হ্যানওয়ে নামে এক শৌখিন বণিক নিজ ছাতার সবর্ত্র ব্যবহার ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান। কিন্তু ব্রিটিশরা তখন তা মেনে নিতে রাজি হননি। ফলে মি. হ্যানওয়েকে সামাজিকভাবে বিভিন্ন ঝামেলাও পোহাতে হয়। কথিত আছে, এক সময় ব্রিটিশরা তাকে ছাতা নিয়ে চলার পথে পাথর ও পচা ডিম ছুড়ে মেরে কঠোর বিদ্রƒপ করেছিল। কিন্তু শেষে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ব্রিটেন লন্ডন ইউরোপ ইত্যাদি দেশে ছাতার ব্যবহার জনপ্রিয়ভাবে চালু হয়ে আছে আজ পযর্ন্ত। ছাতা বৃষ্টির দিনে আর রোদ ছায়ার জন্য অধিক ব্যবহার হলেও ধমীর্য় দিক থেকেও ছাতার বহুল প্রচলন লক্ষণীয়। অতীতে প্রধানত ধামির্ক ব্যক্তি পুরোহিতরা ছাতা ব্যবহার করতেন। পরে প্রায় ৩০০ বছর ধরে সবর্ত্র সবার কাছে ছাতার ব্যবহার চালু হয় তথা বিশ্বের চারদিকে। আমাদের দেশে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ছাতা ব্যবহার করেন ধব ধবে সাদা কিংবা বিশেষ ধরনের গেরুয়া রঙের ছাতা। বাজারে লাল-কালো রঙিন প্রিন্টের বিভিন্ন আঙ্গিকের দেশি-বিদেশি কাপড়ের ছাতা পাওয়া যায়। যে যার সাধ্যমতো পছন্দসই ছেলেমেয়ে, যুবক, মহিলা ছাতা ব্যবহার করেন।