সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৮ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ভয়ংকর এক 'পুতুল দ্বীপ' য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক একটি নির্জন দ্বীপে কি থাকতে পারে? নানা প্রজাতির গাছপালা, কিছু বন্যপ্রাণী, কিছু নিস্তব্দতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। তাই না? কিন্তু নির্জন কোনো দ্বীপে গিয়ে যদি আপনি আবিষ্কার করেন সমস্ত দ্বীপজুড়ে রয়েছে শুধু পুতুল আর পুতুল তখন! মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ১৭ মাইল দক্ষিণে জোকিমিলকোতে রয়েছে ভয়ংকর এক 'পুতুল দ্বীপ'। স্থানীয়দের ভাষায় দ্বীপটির নাম ইলসা ডে লাস মিউনিকাস বা পুতুলের দ্বীপ। সাধারণ একটি ঘটনা থেকেই এই দ্বীপের রহস্যময় যাত্রা শুরু হয়। তা প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ বছরের আগের ঘটনা। দ্বীপটি ছিল শীতল ও অন্ধকারাচ্ছন্ন। তিন মেক্সিকান শিশু এই দ্বীপে পুতুল নিয়ে খেলা করছিল। খেলাচ্ছলে তারা পুতুলের বিয়ে দেয়। খেলার সময়ে হঠাৎ একটি শিশু উধাও হয়ে যায়। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। অনেক খোঁজার পর পাশের একটি খালে সেই শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। সেই থেকে সাধারণ মানুষের কাছে এই দ্বীপটি হয়ে ওঠে ভয়ংকর এক দ্বীপ এবং লোকমুখে কালক্রমে প্রচলিত হয়ে আসছে নানা কাহিনী। মেক্সিকোর অনেক সাহসী বীরেরও বুক কেঁপে ওঠে এই দ্বীপটিতে গেলে। আশ্চর্য এই দ্বীপে গাছের ডালে ঝুলছে পুতুল। ছোট পরিত্যক্ত ঘরের দেয়ালে ঝুলছে পুতুল। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু পুতুল আর পুতুল। এই নির্জন দ্বীপে এত পুতুল এলো কোত্থেকে সেটা কেউই পরিষ্কার করে জানে না। স্থানীয়দের ভাষায় দ্বীপটির নাম ইলসা ডে লাস মিউনিকাস বা পুতুলের দ্বীপ। গভীর সমুদ্রে কুকুর উদ্ধার য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক থাইল্যান্ডের উপকূল থেকে সমুদ্রের ২২০ কিলোমিটার দূরে চলে গিয়েও বেঁচে গেল একটি কুকুর। তেল উত্তোলনে নিয়োজিত এক কর্মী কুকুরটিকে পালনের দায়িত্ব নেয়ায় পুনর্জীবন পেয়েছে প্রাণীটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, উদ্ধারকারী ওই কর্মী গাঢ় বাদামি রঙের কুকুরটির নাম রাখে বুনর্ড। থাই ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে 'কর্ম থেকে বেঁচে যাওয়া প্রাণী'। গত শুক্রবার তেল উত্তোলনকর্মীরা থাইল্যান্ডের উপসাগরে ঢেউয়ের ফাঁকে কুকুরটির মাথা ভাসতে দেখে এটিকে উদ্ধার করেন। কুকুরটি সেখানে কীভাবে গেল বা কতক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল সে সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় মিডিয়া ধারণা করছে এটি সম্ভবত কোনো মাছধরা নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে ওই তেল উত্তোলন স্থাপনার দিকে সাঁতরে যায়। বুনর্ডের চিকিৎসায় সঙ্খলা প্রদেশের একজন পশু চিকিৎসকের কাছে দেয়া হচ্ছে বলে এএফপিকে একটি পশু সেবা সংস্থা জানায়। সাগর তলে আশ্চর্য রহস্যময় জগৎ য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক সাগর-মহাসাগরের তলায় রয়েছে এক আশ্চর্য রহস্যময় জগৎ। এখানে বাস করে বিচিত্র সব প্রাণী। আর তাদেরই অন্যতম কোরাল বা প্রবাল। কোরাল অমেরুদন্ডী। বর্ণিল এই প্রাণীগুলো শুধু সারাটা জীবন নয়, মরণের পরও সংঘবদ্ধ হিসেবে বাস করে। মৃত কোরালের দেহ স্তূপাকারে জমা হয়ে নানা আকৃতির কাঠামো তৈরি করে। একে বলা হয় কোরাল রিফ বা প্রবাল দ্বীপ। কোরাল রিফ গঠন নির্ভর করে সাগরতলের পরিবেশের ওপর। তাপমাত্রা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের উপস্থিতিই জানান দেয় সেখানে কোরাল তৈরি হবে কিনা। কোরাল কার্বোনেট অব লাইম দিয়ে তৈরি। এ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর অংশ, এমনকি শৈবালও দেখা যায় কোরালে। কোরাল রিফ মৃত কোরালের একটি আকৃতি। এটি সাধারণত গঠিত হয় ট্রপিক্যাল সাগরে। ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা কোরাল রিফ গঠনে সবচেয়ে সহায়ক। ১১ মিটার থেকে ৪০ মিটার গভীর সমুদ্রে কোরাল রিফের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সাগরের পানিতে এমন তাপমাত্রা থাকলে প্রচুর ফাইটোপস্ন্যাঙ্কটন জন্মায়। ফাইটোপস্ন্যাঙ্কটন হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ। ফাইটোপস্ন্যাঙ্কটন খেয়ে জুপস্ন্যাঙ্কটন নামের এক ধরনের অতি ক্ষুদ্র প্রাণী বেঁচে থাকে। কোরালের প্রধান খাদ্যই হচ্ছে জুপস্ন্যাঙ্কটন। কোরাল লাইম অব কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হলেও রিফে কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম, স্ট্রনসিয়ামের মতো ধাতুও থাকে।