মেটালিক সেরুলিয়ান প্রজাপতি

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
লাইসিনিডি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এ প্রজাপতিটির ইংরেজি নাম মেটালিক সেরুলিয়ান (গবঃধষষরপ ঈবৎঁষবধহ) আর বৈজ্ঞানিক নাম ঔধসরফবং ধষবপঃড় (ঋবষফবৎ). এদের ডানার বিস্তার ২৫-৩৪ মিলিমিটার। ধূসর খয়েরি রঙের এ প্রজাপতিটির লেজ আছে এবং লেজের কাছে কমলা রং দিয়ে ঘেরা কালো রঙের একটি 'চোখ' আছে। এদের সামনের ডানা আকাশি নীল রং। কমন সেরুলিয়ানের তুলনায় এদের ডানায় নীলের ঘনত্ব ও ধাতব ভাব বেশি। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী প্রজাপতির নীলের ঔজ্জ্বল্য কম এবং সামনের ডানার প্রান্তে কালচে খয়েরি পাড় বেশি চওড়া। এ প্রজাপতির নিচের পিঠ ধূসর খয়েরি, তার ওপর সাদা দাড়ি। পিঠের রংও কমন সেরুলিয়ানের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল, সাদা রেখার কনট্রাস্টও অনেক বেশি। সামনের ডানায় পাড়ের পটিগুলো বাদ দিলে চারটি দাড়ি চোখে পড়ে। ডানার গোড়ার দিক থেকে হিসাব করলে এক ও দুই নাম্বার দাড়ি দুটি ডানার খোপ ভেদ করে একটানা চলে গেছে। তিন নাম্বার দাড়িটি শেষ হয়েছে শিরা-৩-এ, চার নাম্বার দাড়ি শেষ হয়েছে শিরা-৪-এ। এই শেষ দাড়ি দুটির ডগার অংশে একটা কনুইয়ের মতো ভাঁজ তৈরি হয়েছে। দূর থেকে এর ডানার নীল উলস্নাস চোখে পড়ার মতো। জঙ্গলের প্রান্তে ও জঙ্গলের ভেতর যথেষ্ট উন্মুক্ত স্থানে এদের চোখে পড়ে। আলো-ছায়ার ভেতর মোটামুটি একই জায়গায় তড়িৎ বেগে এরা এলোমেলোভাবে উড়ে চলে। বসার জন্য এরা বেছে নেয় মাঝারি উচ্চতার কোনো গাছের নিচের দিকে পাতা। সাধারণত ৬-৮ ফুট উঁচুতে বসে এরা। পাতার নিচের দিকে উল্টোভাবে বসে এরা। ৫-৭ মিনিট পর আবার ওড়া শুরু হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও মিয়ানমারে এদের দেখতে পাওয়া যায়।