সংবাদ সংক্ষেপ

জামচাঁদা প্রজাপতির অজানা কথা

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক জামচাঁদা প্রজাপতির ইংরেজি নাম ডানায়িড এগফ্লাই (উধহধরফ ঊমমভষু), নিমফ্যালিডি পরিবারভুক্ত এ প্রজাপতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ঐুঢ়ড়ষরসহধং সরংরঢ়ঢ়ঁং (খরহহধবঁং). এদের ডানার বিস্তার প্রায় ৭০-৮৫ মিলিমিটার। পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাপতি দেখতে সম্পূর্ণ আলাদা। পুরুষটি কালো, কিন্তু তার ওপর নীলের হালকা আভা চোখ ঝলসে ওঠে। সামনে ও পেছনের ডানার মাঝ-আঁচলে একটি করে বেশ বড় সাদা টিপ, সাদার সীমানা বেশ কাঁটাকাঁটা ও স্পষ্ট। সামনের ডানার শীর্ষে আরও একটা করে সাদা ছোট ছোপ। স্ত্রী প্রজাপতিটি দেখতে হুবহু পেস্নন টাইগারের মতো, বিশেষ করে ওপরের দিকে যে উড়ন্ত অবস্থায় দেখলে চটের স্বরূপ বোঝা যায় না। নিচের পিঠ ওপর-পিঠের মতোই, তবে অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের। স্ত্রী ও পুরুষ জামচাঁদা প্রজাপতির চেহারায় যেমন কোনো মিল নেই, তেমনি এদের স্বভাবেও রয়েছে অনেক পার্থক্য। স্ত্রী প্রজাপতিটি আড়ালে-আবডালে থাকে, ছদ্মবেশের কল্যাণে এর বেশকিছু সুরক্ষাও জোটে। সাধারণত ডিম পাড়ার উপযোগী গাছের কাছাকাছিই এটি আনাগোনা করে। মাঝেমধ্যে পাতার আড়ালেও এটি বসে থাকে। অন্যদিকে পুরুষ প্রজাপতিটির রোদ খুব প্রিয়। কখনো সরাসরি মাটির ওপরেই সাধারণত মাটি থেকে ২-৬ ফুট উঁচুতে কোনো ঝোপের ওপর বসে থাকে। ডানা সোজা করে অথবা সামান্য উঁচিয়ে বসে থাকে এরা। কাছাকাছি অন্য কোনো প্রজাপতিকে দেখলেই তাড়া করে ধেয়ে যায়। একই জায়গাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টাও বসে কাটিয়ে দিতে পারে এরা। স্ত্রী প্রজাপতিটি বেশি ওড়াউড়ি করে। দেখে মনে হয় যেন পেস্নন টাইগারের ওড়ার ভঙ্গিটাও নকল করেছে। পেস্নন টাইগার প্রজাপতিকে খেয়ে কোনো পাখি সহজে হজম করতে পারে না। সম্ভবত এ কারণেই প্রকৃতিও এ প্রজাপতির স্ত্রীটিকে ডিম পাড়ার সুবিধা করে দিতে এ রকম অভিযোজনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সাদা ঝিন্টি, বিভিন্ন প্রজাতির জবা আর নাইন-ও-ক্লক নামে পরিচিত গোলাপি রঙের পর্টুলেকা ফুল এ প্রজাপতির শূককীটের প্রিয় খাদ্য। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারে জামচাঁদা প্রজাপতি দেখতে পাওয়া যায়।