বর্ষায় কিশোরবেলা

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

মোজাম্মেল সুমন
বর্ষা মানে যখন তখন জলের তুমুল নাচন, গরম শেষে আরাম করে সুরভিত বাঁচন। বাড়ির উঠোন পিচ্ছিল থাকে হেঁটে যেতে পড়ি, সারা গায়েই কাদা মেখে কিশোরবেলা গড়ি। কলার পাতা মাথায় দিয়ে জলের শব্দ শুনি, মনে মনে গানের শিল্পী হবার স্বপন বুনি। পুকুরপাড়ে উল্টোভাবে আকস্মিক লাফ দিতে মেতে উঠি সবাই মিলে আনন্দের সুখ নিতে। বর্ষা এলে কলাগাছের ভেলায় চড়ে ভাসি, নগ্নগায়ে ভিজেভিজে লজ্জায় যেন হাসি। বৃষ্টির জল পড়ে গায়ে শিউরে ওঠে প্রাণ, কিশোরবেলা জীবনজুড়ে আনন্দময় ঘ্রাণ। নদীজলে হঠাৎ করে পানকৌড়ি ডুব সাঁতার, ভেসে উঠি মাথায় লাগে ছোঁয়া শাপলা পাতার। ডুবেডুবে হাতের গোড়ায় শালুক উপড়ে তুলি, কাঁচাশালুক কামড়ে খেয়ে জলে করি কুলি। ছোঁয়াছুঁয়ি খেলায় মাতি নদীর জলে সানাই, বাতাস ঢুকাই তবন চেপে যেন বেলুন বানাই। নদীর বুকে সাঁতার কেটে জলের পিঠে পিটাই, মাছের মতো ভেসে ভেসে মনের শান্তি মিটাই। ডুবিভাসি সাঁতার কাটি দুটি চোখ হয় লালচে, গায়ে ময়লা লেগে থাকে দেখতে কভু কালচে। ভরা বর্ষায় নদীর বুকে জলের খেলা হইহই, কিশোর মনে ক্ষণেক্ষণে বেজে ওঠে হইচই।