সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শুক্র গ্রহের কিছু অসাধারণ তথ্য য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক শুক্র দূরত্ব হিসেবে আমাদের সৌরজগতের দ্বিতীয় গ্রহ। একই সঙ্গে পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ। পৃথিবী থেকে দূরত্ব প্রায় ৪১,৪০০,০০০ কিলোমিটার। চলুন জেনে নেয়া যাক শুক্র গ্রহ সম্পর্কে বেশকিছু অবাক করা তথ্য। সৌরজগতের অন্যান্য যে কোনো জ্যোতিষ্কের চেয়ে শুক্রে আগ্নেয়গিরির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। শুক্রের পৃষ্ঠে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০টি আগ্নেয়গিরি শনাক্ত হয়েছে। ধারণা করা হয় ছোট ছোট আরও আগ্নেয়গিরি এখানে আছে যেগুলো এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এসব আগ্নেয়গিরির বেশির ভাগই সুপ্ত বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শুধু অল্প কিছুই সক্রিয় আছে এখনো। দিন বছরের চেয়েও বড়। শুক্রের একদিন সমান পৃথিবীর ২৪৩ দিনের সমান। অর্থাৎ শুক্রের নিজের অক্ষের ওপর একবার আবর্তিত হতে ২৪৩ দিন সময় লাগে। কিন্তু সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে পৃথিবীর ২২৪.৭ দিন, যা শুক্রের দিনের দৈর্ঘ্যের চেয়ে কম। আমাদের সৌরজগতের যতগুলো গ্রহ আছে পৃথিবীর সঙ্গে মিল সবচেয়ে বেশি হলো শুক্রের সঙ্গে। কারণ দুটি গ্রহের আকার প্রায় একই সমান সেই সঙ্গে শুক্র যেসব পদার্থ দিয়ে তৈরি, পৃথিবীর গঠনও অনেকটা একই ধরনের। পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটতম কক্ষপথ শুক্রের। দুটি গ্রহের পৃষ্ঠই তুলনামূলক নতুন এবং দুটি গ্রহেরই খুবই ঘন বায়ুমন্ডল আছে। তবে শুক্রের বায়ুমন্ডলে যে সালফিউরিক এসিড এসিড আছে তার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো মিল নেই। এটাকে একটি অন্য পেস্নন আসছে বলে ভুল করেছিলেন। পাইলট তার পেস্ননকে নিয়ে অ্যামারজেন্সি ডাইভ করেছিলেন মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য। পরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার সেটাকে শুক্র বলে নিশ্চিত করেন। প্রাচীনকাল থেকেই শুক্র মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ সাল থেকে প্রাচীন ব্যাবলনীয়রা শুক্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করত। গ্রিক গণিতবিদ পিথাগোরাস সর্বপ্রথম প্রমাণ করেন যে সকালের ও সন্ধ্যার সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা একই বস্তু, শুক্র গ্রহ। শুক্রের বাতাসের গতি প্রচন্ড বেশি। ঘণ্টায় ৪৫০ মাইল যা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রম্নতগতির টর্নেডোর চেয়ে বেশি। কিছু কিছু বিজ্ঞানীরা মনে করেন কলোনাইজেশনের জন্য মঙ্গলের চেয়ে শুক্র ভালো পছন্দ হতে পারে। শুক্রের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩১ মাইল উপরে শুক্রের যা গ্র্যাভিটি তা পৃথিবীর গ্র্যাভিটির অনেকটা কাছাকাছি। আর সেই উচ্চতায় বায়ুচাপও পৃথিবীর বায়ুচাপের কাছাকাছি। তাপমাত্রাও শূন্য থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে। মঙ্গলের চেয়ে শুক্রের রেডিয়েশনের বিপক্ষে তুলনামূলক ভালো প্রতিরক্ষা আছে। রেডিয়েশনের মাত্রা অনেকটা পৃথিবীর সমান। স্পেসসু্যটের রঙ উজ্জ্ব্বল কমলা হয় কেন? য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক নাসা মোটেও নিজেদের কোনো ফ্যাশন দেখাতে চাচ্ছে না এই রং পছন্দ করে। আসলে এই 'ইন্টারন্যাশনাল অরেঞ্জ' রঙটিকে পছন্দ করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য, কারণ মাটির বিপরীতে এই রংটি বেশ ফুটে ওঠে। হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের শাটল ক্রু এস্কেপ সাবসিস্টেমের ম্যানেজার ব্রায়ান ডেনিয়েল বলেন 'এর কারণ সম্পূর্ণভাবেই সার্চ অ্যান্ড রেস্কিউ। কোনো কিছু দেখতে পাওয়ার জন্য এই রংটিই সবচেয়ে সহায়ক, বিশেষ করে সমুদ্রে উদ্ধার অভিযানের সময়।' সান ফ্রান্সিস্কোর গোল্ডেন গেট ব্রিজ এবং জাপানের ১০৯০ ফিট লম্বা টোকিও টাওয়ারের রংও এই ইন্টারন্যশনাল অরেঞ্জ। স্পেসসু্যটের পূর্ণ নাম হলো 'অ্যাডভান্সড ক্রু এস্কেপ সু্যট' বা অঈঊঝ। এটা একটা প্রেসারাইজড শেল। উৎক্ষেপণ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এটি অ্যাস্ট্রোনটকে রক্ষা করতে পারে। এই সু্যটের ভেতরে পানি ও বাতাসের সরবরাহ থাকে, সঙ্গে থাকে প্যারাসু্যট এবং কিছু আত্মরক্ষার জিনিসপত্র যেমন- রেডিও, ফ্লেয়ার এবং কিছু ওষুধ। সু্যটের এখন যে মডেল চলছে তা আনা হয় ১৯৯৪ সালে। এর আগের মডেলের নাম ছিল 'লঞ্চ এন্ট্রি সু্যট' বা খঊঝ। সেটার রংও এমনই ছিল। স্পেস শাটল আটলান্টিসের সামনে কমলা স্পেসসু্যটে অ্যাস্ট্রোনটরা। মিশন ঝঞঝ-১২৫। কয়েক রকম গাংশালিক য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক ছিপছিপে দেহাকৃতির পাখি গাংশালিক। এরা আকারে ময়নার চেয়ে সামান্য ছোট। ঠোঁটের রং ঘন কমলা হলুদ। দেখতে বেশ ভালোই লাগে। চোখের চারপাশ দিয়ে কমলা রঙের রিং আছে। বেশ কয়েক রকম ডাক ডাকতে পারে এ গাংশালিক। জমি চাষ করার সময় এরা ঝাঁক বেঁধে লাঙলের পেছনে পেছনে ছুটে বেড়ায়, কেঁচো বা মাটির নিচের অন্যান্য পোকা-মাকড় ধরে খাওয়ার লোভে। নদী বা বিলের ছোট মাছও খুব প্রিয় গাংশালিকের। বৃষ্টি নামলে হালকা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নরম মাটি থেকে কেঁচো ও পোকা-মাকড়ও খায় গাংশালিক। নদী ভাঙার সময় নদীর মাটির চাপা যখন নদীতে তলিয়ে যায় আর ওই সময়ের ভেসে ওঠা পোকাও এরা খায়। এভাবে এরা খাবার খোঁজার পরিশ্রম কমিয়ে আনে। শালিক মানুষের কাছাকাছিই থাকতে বেশি ভালোবাসে, তবে নদীতীরবর্তী বিল-ঝিল এলাকায় এদের খুঁজে পাওয়া যায় সহজে। খড়কুটা, ঘাস-পাতা এবং নানারকম আবর্জনা দিয়ে গাংশালিকরা নদীর তীরে বা বিলের উঁচু জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। বাসাগুলো দেখতে বেশ বড়সড়ই হয়।