হ্যালির ধূমকেতু

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
হ্যালির ধূমকেতু হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধূমকেতু। একে ক্ষণস্থায়ী ধূমকেতু বলা হয় কারণ সে সূযের্ক একবার প্রদক্ষিণ করতে ২০০ বছরের কম সময় নেয়। আজ থেকে হাজার বছর আগেও মানুষ এ ধূমকেতু দেখত বলে জানা যায়। ব্যাবিলন, চীন ও ইউরোপে পযের্বক্ষকরা তখন হ্যালির ধূমকেতু দেখেছেন বলে নথিপত্রে লিখে রেখেছেন। প্রতি ৭৫ বা ৭৬ বছর পরপর খালি চোখে এ ধূমকেতু দেখা যায় পৃথিবী থেকে। ১৯৮৬ সালে সবের্শষ একে দেখা যায়। আশা করা যাচ্ছে ২০৬১ সালে আবার দেখা যাবে। ইংরেজ জ্যোতিবির্জ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি সবর্প্রথম এ ধূমকেতুর সূযের্ক কেন্দ্র করে একবার ঘোরার সময়কাল বের করেন। তার নামানুসারেই এ ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়। ১৯৮৬ সালে যখন শেষবার এটি দৃশ্যমান হয় তখন বিজ্ঞানীরা আকাশযান ব্যবহার করে এটি পযের্বক্ষণ করার সুযোগ পান। এ সুযোগে পুরনো অনেক তথ্য ও ধারণা যাচাই করে নেয়ার পাশাপাশি কিছু ভুল ধারণাও শুধরে নেয়া সম্ভব হয়। যেমন আগে ধারণা ছিল এতে গলন্ত বরফের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু এ পযের্বক্ষণে প্রমাণিত হয় আসলে এর পরিমাণ অনেক কম। লেজের মতো দেখতে অংশটির আসল নাম ‘কোমা’, যা কি না পানি ও কাবর্ন ডাইঅক্সাইডের বাষ্প নিয়ে তৈরি।