সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আগামীর খাদ্যের অফুরন্ত ভান্ডার য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক দিন দিন ফুরিয়ে আসছে পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠভাগের খাদ্যভান্ডার। এজন্য মস্ত মস্ত কৃষিবিজ্ঞানীর তো বটেই, জিন গবেষকদেরও চিন্তার শেষ নেই। কৃষিবিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন পৃথিবীর ভূমি থেকে উৎপাদিত শস্যের পুরোটা ব্যবহার করতে। আর জিনবিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন কী করে আরও উন্নতমানের শস্য ও প্রাণীর জাত উন্মোচন করা যায়। উভয়পক্ষের এমন প্রচেষ্টার মাঝখানে খানিকটা স্বস্তি গুঁজে দিচ্ছেন শৈবালবিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের তুলনায় কোনো অংশেই কম নয় সমুদ্র-তলদেশের খাদ্যসম্ভার। আপনি হয়তো ভাবছেন, বাপরে! তা কী করে হয়? সমুদ্রে তো শুধু পানি আর পানি। সে পানিতে থাকে নানা প্রজাতির মাছ, তিমি, হাঙর, অক্টোপাস প্রভৃতি। এর বাইরে আর কীইবা আছে সেখানে! শৈবালবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলদেশে নানা প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী ছাড়াও আছে এক প্রকার আগাছা, যাকে তারা বলছেন শৈবাল। 'শৈবাল' শব্দটি কি কঠিন মনে হচ্ছে? আমাদের এদিকে এর অধিক প্রচলিত নাম হলো শ্যাওলা। তবে সঁ্যাতসেঁতে দেয়াল ও মাটিতে যে শ্যাওলা বা শৈবাল জন্মে, তা কিন্তু সমুদ্রের পানির নিচের শৈবালের মতো নয়। পরিবেশ ও প্রকৃতিভেদে শৈবালের রকমফের আছে। যাই হোক, এ শ্যাওলাকেই বিজ্ঞানীরা দেখছেন বর্তমানের তো বটেই, আগামী দিনেরও খাদ্যের অফুরন্ত ভান্ডার হিসেবে। কমন ওয়ান্ডারার প্রজাপতি য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক প্রজাপতির নাম তলস্নার প্রজাপতি। পিয়েরিডি গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এ প্রজাপতিটির ইংরেজি নাম কমন ওয়ান্ডারার (ঈড়সসড়হ ডধহফবৎবৎ) আর বৈজ্ঞানিক নাম চধৎবৎড়হরধ াধষবৎরধ (ঈৎধসবৎ). এদের ডানার বিস্তার প্রায় ৬৫-৮০ মিলিমিটার। কালো শিরার ওপর উজ্জ্বল আকাশী রঙের ডানা দেখে পুরুষ প্রজাপতিটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। শিরার ওপর দিয়ে টানা গাঢ় কালো রেখা। ডানার প্রান্তে মোটামুটি চওড়া কালো রেখা, শীর্ষের কাছে তুলনামূলকভাবে বেশি চওড়া। নিচের পিঠ সে তুলনায় খুব ফ্যাকাশে, শিরা বরাবর কালো দাগগুলোও নিষ্প্রভ। স্ত্রী প্রজাপতিটির ডানা মলিন আকাশী রঙের। এবারে এসো তলস্নার প্রজাপতির স্বভাব সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। গরমের শুরুতে কিংবা বর্ষার ঠিক পরের দিনগুলোয় খুব সহজেই এদের দেখা মেলে। সাধারণত পুরুষ প্রজাপতিটিকেই বেশি চোখে পড়ে। উড়ন্ত স্ত্রী প্রজাপতি দেখতে বস্নু-টাইগারের মতো। তবে বস্নু-টাইগার প্রজাপতি তুলনামূলকভাবে বড়। তলস্নার প্রজাপতিদের মাঝেমধ্যে মাটির কাছাকাছি কোনো গাছের কান্ড বা ডালে ছায়া পড়া নিরাপদ কোণে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। ভরদুপুরে কখনো ঝোপঝাড়ের ভেতর দিয়ে উড়ে উড়ে আর একটা গাছের পাতা ছুঁয়ে উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। অভয়ারণ্য সুন্দরবন য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক অভয়ারণ্য বলতে বোঝানো হয়, এমন বন বা বনের এমন অংশকে, যেখানে গাছপালা ও পশুপাখিদের মানুষের হাত থেকে নিরাপত্তা দেয়া হয়। মানে, ওই বনে বা বনের ওই অংশে অনুমতি ছাড়া শিকার করা কিংবা গাছকাটা নিষেধ। এমনকি ওখানে যাতায়াত করাও নিষেধ। তোমাকে যেতে হলে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে। এর মাধ্যমে বন থেকে অতিরিক্ত শিকার করা, অতিরিক্ত গাছকাটা- এগুলো বন্ধ রাখা হয়। আমাদের সুন্দরবনেও এরকম তিনটি অভয়ারণ্য আছে যথা পূর্বাঞ্চলীয় সুন্দরবন অভয়ারণ্য, পশ্চিমাঞ্চলীয় সুন্দরবন অভয়ারণ্য আর দক্ষিণাঞ্চলীয় সুন্দরবন অভয়ারণ্য। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় অভয়ারণ্যে গাছপালার বৈচিত্র্য একটু বেশি। এখানে বেশি আছে সুন্দরী, গেওয়া, পশুর, কেওড়া, সিংড়া, আমুর, গোলপাতা- এসব গাছ আর ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। আবার পশ্চিমাঞ্চলীয় অভয়ারণ্যে বেশি দেখা যায় গেওয়া, গরান আর হোন্তাল গাছ। আর দক্ষিণাঞ্চলীয় অভয়ারণ্যে বেশি দেখা যায় গেওয়া গাছ। অন্যান্য গাছ তেমন দেখা যায় না। এ অঞ্চলটিতে লবণাক্ততা একটু বেশিই তো, তাই। আর এ লবণাক্ততা আবার কম-বেশিও হয়। সব মিলিয়ে গাছেদের জন্য এ অঞ্চলটি তেমন সুবিধের নয়!