সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চেনাজানা গাংশালিক য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক ছিপছিপে দেহাকৃতির পাখি গাংশালিক। এরা আকারে ময়নার চেয়ে সামান্য ছোট। ঠোঁটের রং ঘন কমলা হলুদ। দেখতে বেশ ভালোই লাগে। চোখের চারপাশ দিয়ে কমলা রঙের রিং আছে। বেশ কয়েক রকম ডাক ডাকতে পারে এ গাংশালিক। জমি চাষ করার সময় এরা ঝাঁক বেঁধে লাঙলের পেছনে পেছনে ছুটে বেড়ায়, কেঁচো বা মাটির নিচের অন্যান্য পোকা-মাকড় ধরে খাওয়ার লোভে। নদী বা বিলের ছোট মাছও খুব প্রিয় গাংশালিকের। বৃষ্টি নামলে হালকা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নরম মাটি থেকে কেঁচো ও পোকা-মাকড়ও খায় গাংশালিক। নদীভাঙার সময় নদীর মাটির চাপা যখন নদীতে তলিয়ে যায় আর ওই সময়ের ভেসে ওঠা পোকাও এরা খায়। এভাবে এরা খাবার খোঁজার পরিশ্রম কমিয়ে আনে। শালিক মানুষের কাছাকাছিই থাকতে বেশি ভালোবাসে, তবে নদীতীরবর্তী বিল-ঝিল এলাকায় এদের খুঁজে পাওয়া যায় সহজে। খড়কুটা, ঘাস-পাতা এবং নানা রকম আবর্জনা দিয়ে গাংশালিকরা নদীর তীরে বা বিলের উঁচু জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। বাসাগুলো দেখতে বেশ বড়সড়ই হয়। মাঝেমধ্যে একই গাছে দু-তিনজোড়া গাংশালিককে পাশাপাশি বাসা বাঁধতে দেখা যায়। স্ত্রী গাংশালিক চার-পাঁচটি উজ্জ্বল নীল রঙের ডিম পাড়ে। ছানারা ওড়া শেখার আগ পর্যন্ত এরা মা-বাবার মুখের খাবার খেয়েই বড় হয়। ইয়াম ফ্লাই বা ফিতেপলাশ প্রজাপতি য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক আমাদের চেনাজানা প্রজাপতি ফিতেপলাশ। লাইসিনিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এ প্রজাপতির ইংরেজি নাম ইয়াম ফ্লাই (ণধস ভষু) আর বৈজ্ঞানিক নাম খড়ীঁৎধ ধঃুসহঁং (ঝঃড়ষষ). এদের ডানার বিস্তার ৩৬-৪২ মিলিমিটার। গায়ের রং পলাশ ফুলের মতো কমলা আর ঘুড়ির মতো লম্বা লেজ আছে বলে এ প্রজাপতির বাংলা নাম ফিতেপলাশ। ক্রমে সরু হতে থাকা পেছনের ডানা থেকে মসৃণভাবে গজিয়েছে এদের লম্বাটে এ লেজটি। ডানার ওপরের দিকের পিঠ কমল। নিচের পিঠের রং হালকা কমলা কিংবা কমলা মেশানো তিলক-মাটির মতো। সামনের ডানার শীর্ষ ও পার্শ্বপ্রান্ত কালো রঙের। ফিতেপলাশ প্রজাপতির স্বভাব সম্পর্কে কিছু তথ্য। বর্ষার ঠিক আগে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। গায়ের রং আর লম্বা লেজের জন্য এরা বেশ দর্শনীয়। প্রায়ই পানির কাছাকাছি যেমন পুকুরের পাড়ে গজানো গাছপালার কাছাকাছি ৪-৫ ফুট ওপরে ডানা অর্ধেক খুলে রোদ পোহাতে দেখা যায়। ফিতেপলাশ প্রজাপতি অত্যন্ত তীব্রগতিতে ওড়ে, তবে একটানা বেশিক্ষণ ওড়ে না। কখনো বিরক্ত হলে এরা এলোমেলোভাবে উড়ে মুহূর্তের মধ্যেই হারিয়ে যায়। পাশের দিকে পালানোর পরিবর্তে এদের স্বভাব হলো ক্রমে ওপরের দিকে উঠে যাওয়া। কোনো বড় গাছের নিচের ঝোপ থেকে উড়ে সে গাছেরই ১৫-২০ ফুট ওপরের দিকে ঘাঁটি গাড়ে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা এবং মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়া ও ফিলিপিন্সে এ প্রজাপতিটি দেখতে পাওয়া যায়। পানির নিচে আশ্চর্য জাদুঘর য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক পানির নিচে আশ্চর্য এক জাদুঘর। মায়াবী নীল পানির জগৎ- যার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি মানুষের প্রতিমূর্তি। হাতে হাত ধরে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একদল নারী, কেউ বা শুয়ে আছে, কেউ আবার চালাচ্ছে সাইকেল। কিছু বৃদ্ধ বসে আছে কালো মুখ করে। টেবিলে রাখা টাইপ মেশিনে টাইপ করে চলেছে অনেকে, কেউ আছে টেবিলে শুয়ে আবার কেউ আছে দাঁড়িয়ে। এভাবেই সাজানো হয়েছে পানির নিচে আশ্চর্য একটি জাদুঘর। জাদুঘরটির নাম কানকুন মেরিন পার্ক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ মিটার নিচে যেন এক মায়াবী ভুবন এই জাদুঘর। এখানে রয়েছে ৪০০ মানুষের প্রতিমূর্তি। এই প্রতিমূর্তিগুলো সাজানো হয়েছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। দেখে মনে হয় পানির নিচে চলমান আলাদা একটি জগৎ। জাদুঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সমুদ্রের নানা প্রজাতির মাছ। বিরল এই জাদুঘরটি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ভাস্কর জেসন দ্য ক্লেয়ার্স টেইলর। এটি তৈরির পিছনে একটি কারণও আছে। এখানে রয়েছে কানকুন ইসলা মুজেরেস ন্যাশনাল মেরিন পার্ক। বছরের সবসময় এই পার্কে মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। ফলে সমুদ্র উপকূলে জলজ প্রাণীর আগমন ও জলজ প্রবালের অস্তিত্ব চরম সংকটের মুখে পড়েছিল। মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলে সমুদ্রের নিচের স্বাভাবিক পরিবেশ ছিল না বললেই চলে।