বিচিত্র প্রাণীর বিচিত্র স্বভাব

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
উটপাখি (দ্রম্নততম পাখি) সব পাখি কিন্তু ওড়ে না। কোনো কোনো পাখি ডানা না মেলে দু পায়ে ছুটতেই বেশি ভালোবাসে। বিশালদেহী উটপাখি তো উড়তেই পারে না। তবে দৌড়ায় অবিশ্বাস্য গতিতে। ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে বলে তারা যে শুধু পাখিজগতের দ্রম্নততম সদস্য তা-ই নয়- অন্তত আধঘণ্টা পর্যন্ত ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেগ ধরে রাখতে পারে বলে তাদের কষ্টসহিষ্ণুতারও প্রশংসা করতে হয় আলাদাভাবে। শকুন (শকুন হইতে সাবধান) ১৯৭৩ সালে একটা বিমান প্রায় বিধ্বস্ত হতে বসেছিল শকুনের কবলে পড়ে। ১১ হাজার ২০০ মিটার অর্থাৎ ৩৬ হাজার ৭৪৫ ফুট ওপর দিয়ে উড়ছিল বিমানটি। এক রুপেল শকুন উড়তে উড়তে সেখানে গিয়ে হাজির এবং বিমানের সঙ্গে ধাক্কা। পাখি সাধারণত ১০০ থেকে ২০০০ মিটার উঁচুতে ওড়ে। শুধু অভিবাসী পাখিরাই প্রবল শীতে মৃতু্যর আশঙ্কা থেকে বাঁচতে যখন দেশান্তরী হয়, বিশেষ করে যখন হিমালয়ের ওপর দিয়ে উড়তে হয়, তখন বড়জোর ৯০০০ মিটার উঁচুতে ওঠে। পুমা (সবচেয়ে উঁচুতে লাফ দেওয়া প্রাণী) বিশাল আকৃতির বুনো বেড়াল শ্রেণির এই প্রাণী একেবারে জায়গায় দাঁড়িয়ে সাড়ে পাঁচ মিটার, অর্থাৎ ১৮ ফুট ওপরের মগডাল থেকে শিকার ধরে আনতে পারে। স্থলচর আর কোনো প্রাণী লাফিয়ে এত উঁচুতে উঠতে পারে না। ৫০ কেজি ওজনের শরীর নিয়ে পুমা কী করে যে এত উঁচুতে লাফিয়ে উঠতে পারে, কে জানে! প্রাণিকুলে ডলফিনই শুধু পুমার চেয়ে বেশি, ৭ মিটার উঁচুতে উঠতে পারে লাফিয়ে। তবে জলচর ডলফিন লাফের আগে অনেকটা পথ সাঁতরে গতি বাড়িয়ে নেয়। হামিং বার্ড (সবচেয়ে ছোট পাখি) সবচেয়ে ছোট পাখির নাম হামিং বার্ড। সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ে এটা নিশ্চয়ই অনেক আগেই জেনে গেছেন সবাই। সবচেয়ে ছোট হামিং বার্ডের শরীর দুই ইঞ্চি বা ৬ সেন্টিমিটারের মতো। ওজন অন্য পাখির পালকের সমান, মাত্র ২ গ্রাম! খুব ছোট পাখি, খুব ছোট ডানাও তাদের। তাই উড়তে হয় অনেক কষ্ট করে। ওড়ার সময় সেকেন্ডে ৪০ থেকে ৫০ বার ডানা ঝাপটায় হামিং বার্ড। তিমি (সবচেয়ে গভীরে ডুব দিতে পারা প্রাণী) ডাইভ দিয়ে সমুদ্রের পানির ৩০০০ মিটার গভীরে চলে যায় তিমি। একঘণ্টা শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে থাকতেও পারে সেখানে। আর কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণী পানির এত গভীর তলদেশে যেতে পারে না। এতক্ষণ ধরে তিমির মতো শ্বাস বন্ধ রাখাটা অন্য কোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব নয়।