সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
গাছেরও সামাজিক যোগাযোগের উপায় আছে গবেষকরা বলছেন, উদ্ভিদের যোগাযোগের বহুল পরিচিত একটি মাধ্যম হচ্ছে রাসায়নিক। যেমন- গাছের কোনো এক শাখায় যদি ক্ষতিকর কীট আক্রমণ করে তবে সেই শাখার মাধ্যমে উদ্ভিদ কিছু উদ্বায়ী রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা অন্য উদ্ভিদের জন্য সতর্কবার্তারূপে ব্যবহৃত হয় এবং অন্য উদ্ভিদগুলো এর মাধ্যমে তাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আরও দৃঢ় করে তোলে। তবে আক্রান্ত উদ্ভিদ এই রাসায়নিক নিঃসরণ করে তার নিজের অন্য শাখা-প্রশাখার জন্য। এ ছাড়া সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, উদ্ভিদের পারস্পরিক যোগাযোগে ছত্রাক একটি অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। ছত্রাক খাদ্য তৈরি করতে পারে না এবং উদ্ভিদ বা প্রাণীর পরজীবী হিসেবে বাস করে। কিছু ছত্রাক বিভিন্ন গাছপালার সঙ্গে একটি মিথজীবী সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। সেখানে তারা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি শর্করা জাতীয় উপাদান উদ্ভিদ দেহ থেকে আহরণ করে এবং বিনিময়ে নাইট্রোজেন, ফসফরাসজাতীয় উপাদান বিভিন্ন এনজাইমের মাধ্যমে উদ্ভিদ দেহে সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে ওঠে কেমন করে? অধিকাংশ ছত্রাক বহুকোষী এবং এদের দেহ সূত্রাকার, শাখান্বিত এবং আণুবীক্ষণিক। ছত্রাকের এই সূত্রাকার শাখা প্রশাখা মাটি ভেদ করে বিভিন্ন গাছের মূল বা মূলরোমের চারদিকে বা ভেতরে জালের মতো বেষ্টন করে রাখে। ছত্রাক ও মূলের এই ধরনের অ্যাসোসিয়েশনকে মাইকোরাইজা বলে। এভাবে মাটির নিচে হাইফি নেটওয়ার্ক দ্বারা গাছগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই আশ্চর্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উদ্ভিদ একে অপরের মধ্যে শর্করা, নাইট্রোজেন, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান আদান-প্রদান করে। মৃতপ্রায় উদ্ভিদরা তাদের শরীরের এই উপাদান এই নেটওয়ার্কে প্রদান করতে পারে যেন সেই পরিপোষক পদার্থ তার প্রতিবেশী গাছ ব্যবহার করতে পারে। একইভাবে নতুন বীজ তার পারিপার্শ্বিক উদ্ভিদগুলো থেকে বেড়ে ওঠার জন্য সহায়তা পেয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের আক্রমণের ফলে তারা এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে অন্য উদ্ভিদকে সতর্ক করে দেয়। এভাবে তারা অন্যান্য জীবের মতো 'সারভাইভাল অব ফিটেস্ট' পদ্ধতি না অনুসরণ করে সবাইকে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেয়। তবে এই নেটওয়ার্কের কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে। যেমন- অরকিডের কিছু প্রজাতি এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অন্যান্য গাছপালা থেকে উপাদান জোরপূর্বক শুষে নিতে পারে। পৃথিবীতে বেশকিছু রহস্যময় অঞ্চলের সন্ধান পৃথিবীতে অনেক রহস্যময় জায়গা আছে যেগুলো সাধারণ জায়গার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এসব জায়গায় নিউটনের মহাকর্ষণ সূত্র ও কম্পাসও কাজ করে না। যার কারণে এসব এলাকায় ঘটে নানা রকমের অদ্ভুত ঘটনা। প্রখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ ইভান স্যান্ডারসন এ রহস্যময় অদ্ভুত জায়গাগুলোর নাম দিয়েছেন 'ভোরটেঙ', যার অর্থ ঘূর্ণিপাক। সাধারণত ঘূর্ণিপাক পানিরই হয়ে থাকে। তবে স্যান্ডারসনের এ ঘূর্ণিপাক পানির নয়, চেতনাবোধের। পৃথিবীর এরকম বেশকিছু রহস্যময় অঞ্চলের মধ্যে কিছু জায়গা কুখ্যাত রহস্যময় অঞ্চল বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল, রহস্যদ্বীপ বালট্রা, রহস্যময় সাইলেন্স জোন, ক্যালিফোর্নিয়ার নর্থ শাস্থার অরিজনের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা প্রভৃতি। তবে উইন্ডো এরিয়াই হোক আর ভোরটেঙ, যাই বলা হোক না কেন বিজ্ঞানীরা এ জায়গাগুলোর অস্বাভাবিকত্ব আর অসামঞ্জস্যতা নিয়ে গবেষণা করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ গবেষকদের অন্যতম একজন সাইকোলজিস্ট ড. স্টেনলি কিপার। তার মতে, এ এলাকায় প্রবেশ করলে মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ব্যাপক আচরণগত পার্থক্য দেখা যায়। অনেক সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষকে এখানে এসে উদ্ভট ও অস্বাভাবিক সব আচরণ করতে তিনি দেখেছেন। এখানে পা রাখামাত্র যে কোনো মানুষেরই মনে হবে, সে ভিন্ন এক চেতনার জগতে গিয়ে হাজির হয়েছে। পৃথিবীতে এ ধরনের বেশ কিছু রহস্যময় অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে মহাকর্ষণ সূত্র প্রায় অকার্যকর। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় তারা এখানে আরও কিছু অদ্ভুত ব্যাপার প্রত্যক্ষ করেন। যেমন- সমান উচ্চতাসম্পন্ন দুজন লোক এ সব স্থানে গিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ালে সামান্য দূর থেকে উত্তর দিকে ঘেঁষে দাঁড়ানো লোকটিকে খানিকটা খাটো বলে মনে হয়। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য সন্দেহ নেই, তবে বিজ্ঞানীরা এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলেন, একটি শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ঘূর্ণিপাক কাজ করছে জায়গার ভেতর, যার প্রভাবে এ সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। এখানে পানি ঢাললে ওপরের দিকে গড়াতে থাকে অথচ পানির ধর্মই হচ্ছে নিচের দিকে গড়িয়ে নামা। এখানে আগুন জ্বালালে কোনো কারণ ছাড়াই ধোঁয়া শঙ্খ আকারে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকে।