সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অতিচেনা আমাদের গাংশালিক য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক গাংশালিক আমাদের অতিচেনা পাখি। ছিপছিপে দেহাকৃতির পাখি গাংশালিক। এরা আকারে ময়নার চেয়ে সামান্য ছোট। ঠোঁটের রং ঘন কমলা হলুদ। দেখতে বেশ ভালোই লাগে। চোখের চারপাশ দিয়ে কমলা রঙের রিং আছে। বেশ কয়েক রকম ডাক ডাকতে পারে এ গাংশালিক। জমি চাষ করার সময় এরা ঝাঁক বেঁধে লাঙলের পেছনে পেছনে ছুটে বেড়ায়, কেঁচো বা মাটির নিচের অন্যান্য পোকা-মাকড় ধরে খাওয়ার লোভে। নদী বা বিলের ছোট মাছও খুব প্রিয় গাংশালিকের। বৃষ্টি নামলে হালকা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে নরম মাটি থেকে কেঁচো ও পোকা-মাকড়ও খায় গাংশালিক। নদীভাঙার সময় নদীর মাটির চাপ যখন নদীতে তলিয়ে যায় আর ওই সময়ের ভেসে ওঠা পোকাও এরা খায়। এভাবে এরা খাবার খোঁজার পরিশ্রম কমিয়ে আনে। শালিক মানুষের কাছাকাছিই থাকতে বেশি ভালোবাসে, তবে নদীতীরবর্তী বিল-ঝিল এলাকায় এদের খুঁজে পাওয়া যায় সহজে। খড়কুটা, ঘাস-পাতা এবং নানারকম আবর্জনা দিয়ে গাংশালিকরা নদীর তীরে বা বিলের উঁচু জায়গায় গর্ত করে বাসা বানায়। বাসাগুলো দেখতে বেশ বড়োসড়োই হয়। মাঝেমধ্যে একই গাছে দু-তিন জোড়া গাংশালিককে পাশাপাশি বাসা বাঁধতে দেখা যায়। স্ত্রী গাংশালিক চার-পাঁচটি উজ্জ্বল নীল রঙের ডিম পাড়ে। ছানারা ওড়া শেখার আগ পর্যন্ত এরা মা-বাবার মুখের খাবার খেয়েই বড় হয়। খরতাপে নির্বিকার অরিক্স হরিণ য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক 'অরিক্স' হরিণ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তপ্ত হাওয়া গায়ে মেখে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়। মানুষ হলে অমন তাপে মৃতু্য নির্ঘাত। অরিক্সের দেহের রক্ত শীততাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তা ছাড়া তৃষ্ণা খুব কম পায় বলে অন্য প্রাণীদের মতো গরমে ঘন ঘন পানি পান করারও দরকার পড়ে না। সপ্তাহে একবার পানি পান করলেই সুস্থ থাকে অরিক্স। এমন হলে কারও গায়ে তাপ দুর্ভোগ হয় কী করে! সেরা কানের অধিকারী বাদুড় য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক প্রাণিকুলে সেরা কান বাদুড়ের। নিশাচর এই প্রাণী তার বড় বড় কান শব্দের উৎসের দিকে ঘোরালে যেন দীর্ঘ এক চোঙ চলে যায় সেখানে, টেনে নিয়ে আসে শব্দকে। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও বাদুড়ের তাই পোকামাকড় ধরে খেতে কোনো অসুবিধা হয় না। সহজভাবে ছোটদের বিদেশি মজার গল্প য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক শিশুসাহিত্যিক মোস্তাফিজুল হকের অনূদিত ও সম্পাদিত তিনটি গল্পের বই প্রকাশ করছে। বইগুলোর প্রকাশক সালমা আক্তার। এ বইগুলোর একটা হলো 'সহজভাবে ছোটদের বিদেশি মজার গল্প'। চমৎকার দশটা মজার গল্পে সাজানো এ বইয়ের দশটা গল্পের একটা হলো 'প্রজাপতির ডানা'। অ্যামাজন নদীর তীরে জঙ্গলের খোলা জায়গায় চিমিডিউ নামে এক মেয়ে বাস করত। সে তার পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে মলোকা নামক বড় তাঁবুতে থাকত। চিমিডিউ কখনোই বনের দিকে পা বাড়ায়নি। সে জানতো যে বন ভয়াবহ প্রাণী ও ক্ষতিকর আত্মায় কতটা পরিপূর্ণ। আর এখানে হারিয়ে যাওয়া কতটা সহজ। তবুও বড়রা যখন সে সব অচেনা জগতের গল্প বলতেন, সে তখন মুগ্ধ হয়ে তা শুনতো। আর সে মাঝেমধ্যে কল্পনায় বনের ভেতরে ঢুকে যেত। একদিন চিমিডিউ একটা প্রজাপতির পিছু নিয়ে গহিন বনে ঢুকে পড়ল। মেয়েটা পথ হারিয়ে ফেলল! কতরকমের বিপদের মুখোমুখি হলো, তার ইয়ত্তা নেই। ধৈর্য ও বুদ্ধির গুণে একদিন সে বন থেকে ঠিকই বেরিয়ে আসে। প্রজাপতির ডানাজুড়ে মহানন্দে বন থেকে বেরিয়ে এলেও সে আবারও বনে থেকে যেতে চায়। বাকিটা জানতে হলে বইটা পড়তে হবে। বিশ্বসেরা গল্পকারদের নির্বাচিত মজার গল্পগুলোর এই অনুবাদ সংকলন ছোট-বড় সব পাঠকের মন জয় করবে বলে আমার বিশ্বাস। দেলোয়ার রিপণের চমৎকার প্রচ্ছদে চাররঙা এ বইটার মুদ্রিত মূল্য ১৮০/- টাকা। বইটা বইমেলার ছোটদের জ্ঞান-বিজ্ঞান একাডেমির ৮২৬ নম্বর স্টলে।