সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পানি নিয়ে নানান তথ্য য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক রাসায়নিকভাবে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন মিলে পানি গঠিত হয়। পানির রাসায়নিক রূপ হচ্ছে ঐ২ঙ দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি অক্সিজেন পরমাণুর রাসায়নিক বন্ধন দ্বারা একটি পানির অণু তৈরি হয়। জীবজগতের টিকে থাকার জন্য পানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতিতে তিনটি অবস্থায় পানি পাওয়া যায়- কঠিন, তরল ও বায়বীয়। পানি বলতে আমরা মূলত ঐ২ঙ-এর তরল অবস্থাকে বুঝি। পানির কঠিন অবস্থাকে বরফ এবং বায়বীয় অবস্থাকে জলীয়বাষ্প বলা হয়। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৭০ ভাগই পানি দ্বারা আবৃত। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে তিনটি মহাসাগরে। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। আর ভারত মহাসাগর রয়েছে আকারের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে। বঙ্গোপসাগর ভারত মহাসাগরেরই একটা অংশ। প্রশান্ত মহাসাগরে রয়েছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ নামের এক অদ্ভুত জায়গা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীরতম স্থান। চাঁদের এবং সূর্যের টান এবং পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির কারণে সমুদ্রে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। আর এই জোয়ার-ভাটার জন্যই সমুদ্রের পানিতে ঢেউ দেখা যায়। প্রতি এক কেজি সমুদ্রের পানিতে প্রায় ৩৫ গ্রাম লবণ পাওয়া যায়। সাধারণ পানি ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বরফে পরিণত হয়। কিন্তু সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকায় তা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ই বরফে পরিণত হয়ে যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ নদীর নাম নীলনদ, এর দৈর্ঘ্য ৬৬৫০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অ্যামাজন নদী। এর দৈর্ঘ্য ৬৪০০ কিলোমিটার। পানির একটি বিশেষ গুণ হচ্ছে তা বিভিন্ন ধরনের চিনি, লবণ বা অম্স্নজাতীয় বস্তুকে খুব সহজেই দ্রবীভূত করে ফেলতে পারে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের তেল, মোম বা চর্বিজাতীয় পদার্থ পানির সংস্পর্শে কখনোই গলবে না। এ জন্যই কথায় বলে- 'তেলে-জলে মিশ খায় না' বিশুদ্ধ পানির কোনো স্বাদ বা গন্ধ নেই। সাধারণ অবস্থায়, ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করলে পানি বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু খুবই আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এভারেস্ট পর্বতের উপরে পানিকে বাষ্পে পরিণত করতে প্রয়োজন হবে মাত্র ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, বায়ুমন্ডলের চাপ এবং উচ্চতাই এ জন্য দায়ী। সুদূর মঙ্গল গ্রহের পোলার আইস ক্যাপে বরফ অবস্থায় পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা- এ বিতর্কের পথে এই আবিষ্কারটি ছিল একটি মস্ত বড় অগ্রগতি। তাপমাত্রা কমিয়ে ফেললে যে কোনো পদার্থের আকার সংকুচিত হয়। কিন্তু পানি এ ক্ষেত্রে একটি আশ্চর্য ব্যতিক্রম। সমপরিমাণ পানিকে বরফে পরিণত করলে এর আয়তন বেড়ে যায়। এ কারণে শীতপ্রধান দেশে প্রায়ই দেখা যায়, বরফের প্রচন্ড চাপে পানির পাইপ ফেটে গিয়েছে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষকে দৈনিক আট গস্নাসের মতো পানি পান করতে বলা হয়। নিয়মিত পানি পান না করলে শরীরের কোষ থেকে পানি শুকিয়ে যেতে থাকে। পানিশূন্য অবস্থায় মানুষের মৃতু্য পর্যন্ত হতে পারে। শুধু পান করা আর গৃহস্থালি কাজেই নয়- চাষাবাদের জন্যও পানি সেচের দরকার হয়। পানি সেচের মাধ্যমে কৃষিজমির মাটি নরম হয়ে সারের সঙ্গে মিশে উর্বর হয়ে ওঠে, ফলে সহজে ফসল জন্মাতে পারে।