জীবজগতে রয়েছে বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদয়

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
বাদুড় ফুল উড়ন্ত বাদুড়ের মতো দেখায় বলে একে ব্যাট ফ্লাওয়ার বা বাদুড় ফুল বলে। টাক্কা গাছ নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো- ঞধপপধ পযধহঃৎরবৎর, এটি উরড়ংপড়ৎবধপবধব পরিবারের উদ্ভিদ। ভালো করে দেখলে কালো রঙের স্প্যাদ দ্বারা ঢাকা এই ফুলগুলোকে মনে হবে বাদুড় যেন তার মুখটাই হা করে রেখেছে। কিছু কিছু ফুলকে দেখলেই হিংস্র ও ভয়ঙ্কর বলে মনে হবে, তাই হয়তো বা এর আরেক নাম ডেভিলস ফ্লাওয়ার। এই বাদুড়মুখো ফুলটি চীনের ইউনান প্রদেশে দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া আরও দুটি জায়গাতেও পাওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে- থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার। ব্যাট ফ্লাওয়ার যদিও অস্বাভাবিক দেখতে কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর জনপ্রিয়তা ক্রমে বেড়েই চলছে এবং বিভিন্ন বাগানে একে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও তা বাগানের পরিবেশ থেকে বনেই সব থেকে ভালোভাবে জন্মায়। অদ্ভুত এই ফুলটির প্রথম পরিচয় পাওয়া যায় ইউরোপ এবং আমেরিকাতে গত শতাব্দীতে। আজ যা একটি উদ্ভট ফুল হিসেবে পরিচিত যা গাঢ় বেগুনি (প্রায়ই কালো) রঙের মতো দেখায়। বানর অর্কিড পৃথিবীর বিস্ময়কর একটি ফুল বানর অর্কিড। এরা পরিপূর্ণ অবস্থায় দেখতে খানিকটা বাঁদরের আকৃতি ধারণ করে বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। ইকুয়েডর এবং পেরুর পাহাড়ে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার থেকে দুই হাজার মিটার উচ্চতায় অদ্ভুত এ ধরনের ফুলের দেখা মেলে। ফুলটি প্রথম দেখে একে ফুল মনে হওয়ার সম্ভাবনা কমই। কারণ ফুলটির তিনটি পাপড়ির মাঝখানে স্পষ্টই দেখা যাবে জিভ বের করে থাকা একটি বাঁদরের মুখ। বিরল এ ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম উৎধপঁষধ ংরসরধ, তবে বাঁদরের মুখটির কারণে অর্কিড পরিবারভুক্ত এ ফুলটিকে মাঙ্কি অর্কিড বা বাঁদর অর্কিডও বলা হয়। ১৯৭৮ সালে উদ্ভিদবিজ্ঞানী লুয়ের ফুলটি প্রথম দেখেন ও এর নামকরণ করেন। এ রকম বিচিত্র আরও কিছু অর্কিড রয়েছে। যার মধ্যে বি অর্কিড, বার্ডস হেড অর্কিড, ফ্লাইং ডাক অর্কিড অন্যতম। এসব অর্কিডের মধ্যে যথাক্রমে মৌমাছি, পাখির মাথা, উড়ন্ত হাঁসের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়। জেজু আইল্যান্ড জেজু দ্বীপ বা জেজু-ডো দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ দ্বীপ এবং ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ। ২০০৭ সালে ইউনেস্কো জেজু দ্বীপকে বিশ্বের আদি নিদর্শন স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। দক্ষিণ কোরিয়ায় বহুসংখ্যক দ্বীপ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে জেজু দ্বীপ অবস্থিত। পশ্চিম থেকে পূর্বে এটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এর আয়তন ১৮৪৬ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১ হাজার ৯৫০ মিটার। জেজু দ্বীপটি গঠিত হয়েছে ৩৬০টি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে। ভূতত্ত্ববিদ জিসি রবার্টের ভাষ্য অনুযায়ী ২০ লাখ বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি। জেজু দ্বীপটিকে দূর থেকে দেখতে অতি চমৎকার। সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি, যে কারণে ১৯১০ সালে জেজু দ্বীপকে ডাকা হতো জিজি ক্যাডা নামে। স্থানীয় জনগণের ভাষ্য মতে, জিজি ক্যাডা মানে আগ্নেয়গিরি। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্যাডার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জেজু দ্বীপ। কখন কখন এটিকে সামাদো দ্বীপ বলেও অভিহিত করা হয়। জেজু দ্বীপের নাম পরিবর্তন হলেও এর আয়তন পরিমাপ করতে আরও অনেক বছর সময় লেগে যায়। ১৯৫৫ সালের দিকে জেজু দ্বীপটির আয়তন পরিমাপ করা হয়। সমুদ্রের কূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান হওয়ায় সহজে জেজু দ্বীপে যাওয়া যায় না। জাহাজ কিংবা বড় কোনো নৌযান নিয়ে জেজু দ্বীপে যেতে হয়। জেজু দ্বীপে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপ ছাড়া আছে এক বা একাধিক পাহাড়। জেজু দ্বীপে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পাহাড় হ্যালোসান দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু। জেজু দ্বীপে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির ডাইসন, বিরল প্রজাতির সাপ ও হনুমান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ এই দ্বীপটির নাম হচ্ছে 'জেজু আইল্যান্ড' মানে জেজু দ্বীপ। পুরো দুনিয়ার সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে জেজু দ্বীপ জায়গা করে নিয়েছে ২০১১ সালে। কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপ এটি। কোরিয়ানরা উচ্চারণ করে 'জেজু-দো' বলে। বলা হয় আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাতে এই দ্বীপটির সৃষ্টি হয়েছে। যে পাহাড় থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাত হয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল, তার নাম 'হালস্নাসান' পাহাড়। এই পাহাড়কেই জেজুর প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। আর পুরো কোরিয়ায় জেজুর কমলা খুব বিখ্যাত। যেহেতু দ্বীপ, সে ক্ষেত্রে হয় আকাশপথে না হয় পানিপথে যেতে হবে।