প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাধু আইল্যান্ড

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

য় হাট্টি মা টিম টিম ডেস্ক
নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাধু আইল্যান্ড মালদ্বীপের বিস্ময়কর এক সমুদ্র সৈকত। প্রবাল প্রাচীরঘেরা এ দ্বীপের বৈশিষ্ট্য সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে যেন লক্ষ লক্ষ তারা। দ্বীপরাজ্য মালদ্বীপ ২৬টি অ্যাটোল আর প্রায় ১ হাজারটি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে ভারতীয় মহাসাগরের দেশ। অ্যাটোল মানে লেগুনঘেরা প্রবালদ্বীপ। এর মধ্যে মাত্র ২০০ দ্বীপে বাসযোগ্য। বাকিগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। মালদ্বীপের রাজধানী মালে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে একটি। মাত্র ৯.২৭ বর্গকিলোমিটারের এ শহরে প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪১২ জন মানুষের বসবাস। মালদ্বীপের মোট জনসংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩০ জন। প্রকৃতি তার অপরূপ রূপ যেন ঢেলে দিয়েছে এ মালদ্বীপে। বিশাল সমুদ্র, নীল আকাশ আর প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপে দ্বীপে অসাধারণ সব সমুদ্র সৈকত। ভাধু আইল্যান্ড সে সব দ্বীপের মধ্যে অন্যতম। ভাধু মালে থেকে ১৯৪ কিলোমিটার দূরে রা অ্যাটোলে অবস্থিত। ১.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে আর প্রস্থে ০.৪ কিলোমিটার এ দ্বীপে লোকসংখ্যা ৫৫০ জন, অভিবাসীসহ। অকল্পনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিদর্শন এই ভাধু দ্বীপের রাতগুলো যেন অপেক্ষা করে আরও অনেক বিস্ময় নিয়ে। রাতের বেলা যখন ভাধু দ্বীপের তীরে আছড়ে পড়ে সাগরের ঢেউ, তখন মনে হয় যেন আয়নার মতো স্বচ্ছ জলে প্রতিফলিত হচ্ছে রাতের আকাশের অসংখ্য উজ্জ্বল তারা। আবার কখনো কখনো মনে হয় বুঝি আকাশের তারাগুলো সব নেমে এসেছে ভাধু দ্বীপের তীরে। সৈকতে যেন ঐশ্বরিক তারাবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে কেউ। মনে হয় প্রকৃতি সৈকতকে সাজিয়ে দিয়েছে লক্ষ তারায়। মিটিমিট নীল আলোয় তাক লাগানো এক বিস্ময়কর সুন্দর এই ভাদু দ্বীপ। এ উজ্জ্বল নীল আলো আর কিছুর নয়, এক ধরনের সামুদ্রিক ফাইটোপস্নাঙ্কটনের। ফাইটোপস্নাঙ্কটনের নাম ডিনোফ্লাজেলাটিস। এসব ফাইটোপস্নাঙ্কটনে রয়েছে লুসিফেরাস নামক রাসায়নিক উপাদান যা আলো সৃষ্টি করতে পারে। জোনাকি, জেলিফিসের মতো অনেক জীবেরই আছে আলো তৈরির করার ক্ষমতা। এটা অবশ্যই প্রকৃতির এক আশ্চার্য ঘটনা। সাধারণত নিজেদের আত্মরক্ষা, শিকার ধরা, আক্রমণকারী প্রাণীকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব ফাইটোপস্নাঙ্কটন আলো বিচ্ছুরণ করে। এ ফাইটোপস্নাঙ্কটগুলো নিজের উৎপাদিত নীল রঙের আলো বিকিরণ করে নীল আলোর ফিনকি ছড়িয়ে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও অসাধারণ প্রাকৃতিক আলোর খেলার নিদর্শন তৈরি করে চলেছে।