শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
আমাদের চারপাশে ভেসে বেড়াচ্ছে অসংখ্য জীবাণু। এসব জীবাণু প্রতিরোধে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রয়েছে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এর ফলে আমরা অসুখ-বিসুখ হওয়া থেকে মুক্ত থাকতে পারছি। যখনই দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বহিরাগত জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ে পরাজিত হয় তখনই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধের নিজস্ব যে চমৎকার ব্যবস্থা রয়েছে, তা নিম্নে আলোচনা করা হলোÑ ত্বক : ত্বক হলো আমাদের দেহের জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ঢালস্বরূপ। ত্বক দেহের অভ্যন্তরে রোগ-জীবাণু ঢুকতে বাধা দেয়। ত্বকগ্রন্থি ও ঘমর্গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত ফ্যাটি এসিড, ল্যাকটিক এসিড, এসিড পি-এইচ এসব বিভিন্ন রোগ-জীবাণুকে মেরে ফেলে। ত্বকের ঘমর্গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত ঘাম এসব মৃত রোগ-জীবাণুকে ধুয়ে নিয়ে যায়। মিউকাস মেমব্রেন বা শৈষ্মিক ঝিল্লি : মিউকাস মেমব্রেন থেকে নিঃসরিত হয় মিউকাস বা পিচ্ছিল শ্লেষ্মা। এটা থেকে দেহের বহিতর্¡ক কোষ বা এপিসেলিয়াল সেলের ভেতর বহিরাগত রোগ-জীবাণুগুলো মিউকাসের পিচ্ছিল রসে আটকে যায়। পরবতীর্ সময় এদের বিশেষ পদ্ধতিতে বের করে দেয়া হয়। শ্বাসতন্ত্র নাক : আমরা নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নিই বা ছাড়ি। এ নিঃশ্বাসের মাধ্যমেই বাইরের পরিবেশ থেকে অগণিত রোগ-জীবাণু নাকে ঢোকে। নাকের ভিতরে অনেক ছোট ছোট লোম থাকে। যাদের বলা হয় সিলিয়া। এরা এসব রোগ-জীবাণুকে ধরে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেয়। আমরা যে মাঝে মধ্যে হঁাচি দিই এটা কিন্তু শরীরের নিজস্ব রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থারই একটা অংশ। হঁাচির মাধ্যমে অসংখ্য রোগ-জীবাণু নাক দিয়ে বেরিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, নাক দিয়ে যে পানি বেরোয় সেটাও রোগ-প্রতিরোধক, কারণ এতে থাকে লাইমোজাইম নামে বিশেষ এক ধরনের এনজাইম, যা অনেক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। ট্রাকিয়া বা শ্বাসনালি নাকের মতো শ্বাসনালিতে অনেক সিলিয়া থাকে যারা বাইরের রোগ-জীবাণুকে নিচের দিকে নামিয়ে না দিয়ে উপরের দিকে ঠেলে দেয়। ট্রাকিয়ার মধ্যেও রয়েছে পিচ্ছিল শ্লেষ্মা বা মিউকাস। এরা রোগ-জীবাণুকেও আটকে ফেলে। আমরা যে কাশি দিই সেই কাশির মাধ্যমে এসব রোগ-জীবাণু বেরিয়ে যায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কাশিও রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি অংশ।