বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কোলন ক্যানসার এবং ক্যালসিয়াম

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

ক্যান্সারের কথা শুনলেই সবাই ভয় পেয়ে যান। বিষয়টা অবশ্য ভয় পাওয়ার মতোই। কারণ অনেক ক্যান্সারেরই ভালো কোনো চিকিৎসা আজও পাওয়া যায়নি। আবার আগেভাগেই এটা নির্ণয় করতে না পারলে চিকিৎসাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গেই কিন্তু ক্যান্সার হতে দেখা যায়। অন্ত্রনালির শেষের দিকের অংশ বৃহদন্ত্র বা কোলনেও ক্যান্সার হতে পারে। আমাদের দেশে কোলন ক্যান্সার অনেক পরিচিত একটি অসুখ। কোলন ক্যান্সার একটি মারাত্মক এবং জটিল রোগও বটে। প্রতি বছর আমাদের দেশসহ সারাবিশ্বে অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকেই মৃতু্যবরণ করছে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। বয়স যত বাড়তে থাকে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তত বেড়ে যায়। সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সি রোগীদের কোলন ক্যান্সার বেশি হতে দেখা যায়। এছাড়া ৪০ বছরের নিচেও কিন্তু কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের জন্য এরকম অসুখের প্রবণতা অনেক বাড়ছে।

লাল মাংস সারা পৃথিবীতেই জনপ্রিয়। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া বিভিন্ন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেশে গরু ও খাসির মাংস মানুষ বেশি খায়। এসব লাল মাংস বেশি খেলে হতে পারে কোলন ক্যান্সার। খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাবারের অনুপস্থিতি কোলন ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলমূল ও শাক-সবজিতে প্রচুর আঁশ থাকে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই আঁশহীন ফাস্টফুড পছন্দ করে, শাক-সবজি খেতে চায়না। ধূমপান ও মদ্যপান কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে অনেক মানুষ ধূমপান করে, আর মদ্যপায়ীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আমাদের শরীরের ৯৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম থাকে হাড়ে এবং দাঁতে। এ ছাড়া বিভিন্ন টিসু্য এবং ফ্লুইডের মধ্যে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। হাড় মজবুতভাবে গঠনে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গেছে ক্যালসিয়াম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। দুধ এবং দুধজাতীয় খাবার থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এ ছাড়া সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, কমলা ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা ক্যালসিয়াম কম গ্রহণ করে তাদের কোলন ক্যান্সার বেশি হয়। আবার এটাও দেখা গেছে যারা ক্যালসিয়াম সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করে তাদের কোলন ক্যান্সার কম হয়। দেখা গেছে নিয়মিত ক্যালসিয়াম খেয়ে এরপর কিছু সময় বন্ধ করে রাখলেও কোলন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে