ঘি খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
সুষম খাবারের পাশাপাশি ঘি খেলে ওজন কমে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। ঘিতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড। ডায়াবিটিস ঠেকানোর পাশাপাশি ওজন কম রাখতেও সাহায্য করে এই অ্যাসিড। এছাড়া ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘি। ঘি খাওয়ার আগে জেনে নিন এর উপকারিতা। ১. দিনে দু'চামচ ঘি খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমে, বাড়ে উপকারী কোলেস্টেরল। এতে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায় প্রায় ২৩ শতাংশ। ২. ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে রয়েছে। তার সঙ্গে আছে কোলিন। যকৃত এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৩. পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, ঘি দিয়ে রান্না করলে ঘিয়ের মধ্যে থাকা ফ্যাট দ্রবীভূত হতে পারে, এমন ভিটামিনগুলো শরীরের উপযোগী হয়ে খাবারে মিশে যায়। ৪. ঘিয়ের স্মোক পয়েন্ট ৪৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অর্থাৎ রান্না করার সময় ঘিয়ের রাসায়নিক গঠন দ্রম্নত ভেঙে গিয়ে ক্ষুতিকর রাসায়নিক তৈরি হয় না। মজার বিষয় হলো দুধে যাদের অ্যালার্জি আছে ঘি খেলে তাদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কারণ ঘি খেলে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান বাদ হয়ে যায়। কীভাবে ঘি খাবেন খাবারের সঙ্গে মাঝে মধ্যে এক চামচ ঘি খান। পুষ্টি হবে। হার্ট ভালো থাকবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল। তবে বেশি বা নিয়মিত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' এর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সারা দিনে যত ক্যালোরি খাওয়ার কথা, তার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ আসা উচিত ফ্যাট থেকে। তার মধ্যে ১০ শতাংশের কম যদি স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে আসে, তা হলে ক্ষতি নেই। এখন যেহেতু এক চামচ ঘিয়ের মধ্যে থাকা ১৫ গ্রাম ফ্যাটের ৯ গ্রাম স্যাচুরেটেড, তাই হিসাব অনুযায়ী দিনে দু'চামচ ঘি খাওয়া যেতেই পারে।