সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রোগ নিমূের্ল হাবার্ল মেডিসিনই উৎকৃষ্ট মানবদেহের রোগ নিমূের্ল হাবার্ল মেডিসিনই উৎকৃষ্ট ও উপযোগী। হাবার্ল, মডার্ন মেডিসিনের তুলনায় অধিক নিরাপদ, প্রায় পাশ্বর্প্রতিক্রিয়াহীন এবং সাশ্রয়ী। অনেক ক্ষেত্রে খরচবিহীন। মডার্ন অনেক মেডিসিনেরই পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। সে কারণে আবার অন্য মেডিসিন দিতে হয়। মিরপুরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম মিলনায়তনে এক সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকরা এসব তথ্য দেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্লান্টের ত্রিবাষির্ক সম্মেলন উপলক্ষে এ সেমিনারের মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসান বলেন, বিশ্বে এখন হাবার্ল মেডিসিন অধিক পছন্দনীয়। এর কারণ হচ্ছে মডার্ন মেডিসিনের অতি ব্যবহারের কারণে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ওষুধ সহনীয় হয়ে উঠেছে। তাই ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ আরোগ্য না হয়ে স্থায়ী ও জটিল হচ্ছে। মডার্ন মেডিসিনে রোগের দ্রæত উপশম হয় কিন্তু মূল কারণ নিমূর্ল হয় না। সেমিনারের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হামদদর্ ল্যাবরেটরিজের (ওয়াকফ) ড. হাকীম মো. ইউসুফ হারুন ভুইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব প্লান্টের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খন্দকার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লায়ন হাবিবুর রহমান। অন্যদিকে সেমিনারে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোস্তফা কামাল পাশা, অধ্যাপক এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. সেলিমা মমতাজ ও ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের গবেষক সরদার নাসির উদ্দিন য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক তামাকপাতা জদার্ থেকে মুখে ঘা হলে করণীয় বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জদার্ খান এবং নিয়মিত অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি হয় এবং লক্ষ্য করা গেছে অনেকেই তামাকপাতাকে হাতের মধ্যে নিয়ে চুনের সঙ্গে মিশিয়ে গালের মধ্যবতীর্ স্থানে রাখেন তাতে দীঘির্দন ব্যবহারের ফলে ওই স্থানে ঘা হতে পারে। শুধু ঘা নয়Ñ পরে এ ঘা ক্যান্সারেও রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশেই নয়Ñ ভারতের বিভিন্ন স্থানে যেখানে তামাকপাতা নেশার মতো ব্যবহৃত হয় সেসব অঞ্চলেরও মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির তথ্যানুযায়ী এবং ডায়াবেটিস সমিতির বারডেম হাসপাতালে ডেন্টাল বিভাগের দুটি তথ্যে দেখা যায়, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন এবং তামাকপাতা, জদার্ দিয়ে পান খান, তামাকপাতা গালের মধ্যে রেখে ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে শতকরা ১০০ জনের মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা জদার্ খান বা তামাকপাতা খান তাদের রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি হতে পারে ৫০ ভাগ এবং যারা ধূমপান করেন এবং সেই সঙ্গে তামাকপাতাও পানের সঙ্গে ব্যবহার করেন তাদের ঝুঁকি শতকরা ১০০ ভাগ। সুতরাং যাদের মুখে ঘা রয়েছে এবং এসব অভ্যাস ছাড়তে পেরেছেন তাদের মুখের ঘা থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মনে রাখবেন যদি মুখের মধ্যে এসব ঘা লক্ষ্য করেন এবং চিকিৎসার পরও দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয় তবে অবশ্যই বায়োপসি অথবা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে কারণ মুখের এসব অনেক ঘা বা সাপ ক্ষতগুলোকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন প্রি-ক্যান্সার নিশন বা ক্যান্সারের পূবার্বস্থায় ক্ষত। সংক্ষেপে বলতে হয় যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রিউম্যাটিক ডিজিজ ও পরিপাকতন্ত্রের রোগ রয়েছে এবং যারা দীঘির্দন নিয়মিতভাবে ওষুধ গ্রহণ করেছেন, যারা কৃত্রিম দঁাত ব্যবহার করেন, যারা ধূমপান করেন বা তামাকপাতা বা জদার্গুলো ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই দঁাত ও মুখের যতœ নেবেন এবং এসব ঘা দেখা দেয়া মাত্রই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন। সবশেষে যারা ধূমপান করেন বা তামাকপাতা, জদার্ খান তাদের যেহেতু মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি ১০০ ভাগ সেহেতু মুখের ঘা বা ক্যান্সার প্রতিরোধে আজই ধূমপান ও সেই সঙ্গে তামাকপাতা এবং জদার্ ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক