সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
পাথরকুচি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রাচীনকাল থেকেই নানান রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ ব্যবহার হয়ে আসছে আর তার মধ্য পাথরকুচি হলো অন্যতম। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে। পাথরকুচি পাতার আরও স্বাস্থ্য উপকারিতা- ১. কিডনির পাথর অপসারণ: পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। ২. পেট ফাঁপা: অনেক সময় দেখা যায়, পেট ফুলে গেছে অথবা প্রসাব আটকে আছে। সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা-চামচ পাথরকুচির পাতার রস গরম করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। ৩. মৃগী: মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথরকুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে, এর রস একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে। ৪. শিশুদের পেট ব্যথায় : শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথরকুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়। ৫. ত্বকের যত্ন: পাথরকুচি পাতায় রয়েছে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা, পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ৬. পাইলস : পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্‌ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ৭. জন্ডিস নিরাময়ে: লিভারের যে কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী। ৮. শরীর জ্বালাপোড়া: দু-চামচ পাথরকুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে শরীরের জ্বালাপোড়া কমে। ৯. উচ্চ রক্তচাপ : উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং মূত্রথলির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় পাথরকুচি পাতা। কমলালেবুর চেয়েও ৮ গুণ বেশি ভিটামিন 'সি' আমলকীতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আমলকীর ব্যবহার সর্বত্র। চুলের জেলস্না বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের গোলযোগ দূর, শরীর চাঙ্গা এমন হাজারও সমস্যার সমাধান করে আমলকী। মা-ঠাকুমাদের বানানো আমলকীর আচার কিংবা মোরব্বা, অথবা সকালে কাঁচা আমলকী, ভাতে সিদ্ধ খেতেই পারেন। শীতকালে কেন জরুরি আমলকী খাওয়া? এর কী কী গুণাগুণ আছে জানেন? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন 'সি' এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার জন্য বিপাকের হার বাড়ে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্র্দি-কাশির সঙ্গে যুঝতে সাহায্য করে। আমলকী, গুড় আর সন্ধপ লবণ দিয়ে ক্যান্ডি বানিয়েও খাওয়া যায়। দিনে তিন-চারবার খাওয়ার পরে খাওয়া যেতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ভাববেন না চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধের বদলে এগুলো খাওয়া যেতে পারে। বরং ওষুধের পাশাপাশি রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন আমলকী। ভিটামিন সিতে ভরপুর কমলালেবুর চেয়ে আটগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকীতে। বেদানার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। এক গস্নাস পানিতে দুই চামচ আমলকী পাউডার, দুই চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে খুব আরাম হয়। দিনে তিন-চারবার খেতে হবে। চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে অসময়ে চুল পেকে যাওয়া আটকাতে পারে আমলকী। এ ছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুশকি দূর করতে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে আমলকী। হজমশক্তি বাড়ায়, পাচন ক্রিয়ায় খুব সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদহজম এবং এসিডিটিতেও খুব কাজে দেয়। দাদ থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায় দাদ খুব মারাত্মক একটি রোগ, এটি চামড়ার একটি সংক্রমণ। ভাইরাসের আক্রমণে এই সংক্রমণ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে দেহের নানা অংশের চামড়া, পা, নখ ও মাথার চামড়ায়, হাঁটু ও পায়ের রানে দাদ লক্ষ্য করা যায়। লক্ষণ : শরীরের যে অংশে দাদ হয়, সেই অংশটিতে গোলাকার দাগ হয়ে যায়। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি। চামড়া আর্দ্র হয়ে পড়লে দাদের মতো চামড়ার নানা সমস্যায় পড়তে হয়। চিকিৎসা: ১) ভিনেগার বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে দাদ দূর হবে। ২) কাঁচা পেঁপে দেহের উপরের মরা চামড়াকে সরিয়ে দেয়। পেঁপে বেটে তা দাদের জায়গায় লাগান। ৩) দাদ কমাতে লবণজলও দারুণ কাজে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় লবণজল দিনে ৩ বার করে লাগান। ৪) নারকেল তেল যদি দাদের জায়গাতে লাগানো হয়, তাহলে তা দাদকে সারিয়ে ফেলতে অনেকটাই সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের ত্বকের অ্যালার্জিকে সারিয়ে তুলতে নারকেল তেল খুবই কার্যকারী। ৫) হলুদ দাদ থেকে মুক্তির আরেকটি সহজ উপায়ে। কাঁচা হলুদের পেস্ট বানিয়ে দাদের উপরে লাগালে সেইটা দাদকে সারিয়ে তোলে। ৬) কর্পূর দ্বারা আক্রান্ত স্থান খুব দ্রম্নত সারিয়ে তোলা সম্ভব। বেশ কয়েকদিন ধরে দাদে কর্পূর লাগানোর পর আর দাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। ৭) পুদিনা পাতা বেটে একটি পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে দাদ সংক্রামিত জায়গাগুলোতে ভালো করে লাগাতে হবে। \হয় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক