সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হজম শক্তির জন্য অঁাশ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ খাবার অঁাশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। অঁাশ দুই ধরনের হয়, দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য অঁাশ আমাদের শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে। আবার যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও দ্রাব্য ফাইবার খেতে পারেন। যে কোনো ফল ও সবজি দ্রাব্য অঁাশ। অদ্রাব্য ফাইবার খাবার হজম করতে এবং ডায়রিয়াসহ নানা পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে। তো দেখে নেওয়া যাক, কি কি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে খাদ্যশস্য রাখা উচিত। কারণ এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেমন- ধান, রাই, ওট, বারলি, ভুট্টা, বাদামি চাল, মিলেট ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রতিদিন একটু করে নানারকমের বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। যেমন- কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম ইত্যাদি। এই বাদামগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে শরীর রোগ মুক্ত তো থাকেই, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। সুস্বাদু, রসালো এবং মিষ্টি নাশপাতি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। এই ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এ ছাড়াও থাকে, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড এবং পটাশিয়াম। তাই সুস্থ-সবল থাকতে এই ফলটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। নারকেলও ফাইবার সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ওমেগা ফ্যাটি এসিড, ফোলেট, সেলিনিয়াম ইত্যাদি। তাই খাদ্যাভ্যাসে নারকেল রাখা খুবই ভালো। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন যাদের অন্ত্রনালির ক্যান্সার বা বাওল ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি তারা যদি রোজ অ্যাসপিরিন নেন তাহলে সেই ঝুঁকি অনেকটাই কমতে পারে। মেডিকেল জানার্ল ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তির পরিবারে বাওল ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার অনেক ঘটনা আছে তাদের টানা দুই বছর রোজ দুটি করে অ্যাসপিরিন ওষুধ খাওয়ানোর পর দেখা গেছে ক্যান্সার হওয়ার ঝঁুকি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে। বাওল ক্যান্সার প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন যদি কাযর্কর হয়, সেই নিশ্চয় দারুণ সুখবর, কিন্তু এর পাশ্বর্প্রতিক্রিয়াই বিজ্ঞানীদের কিছুটা চিন্তিত রেখেছে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক লেবুর খোসার যত গুণ লেবুর স্বাস্থ্য গুণের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু লেবুর খোসার উপকারের কথা আমরা কতটুকু জানি? আপনি শুনলে অবাক হবেন যে, লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় থাকে প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম, ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার। ফলে চিকিৎসকরা লেবুর খোসা খেতে উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নিই নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে কী কী উপকার হয়? লেবুর খোসা খেলে সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে শরীরের কমর্ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের রোগই দূর হয়। নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে, লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই গুরুত্বপূণর্ অঙ্গের কমর্ক্ষমতা বাড়তে থাকে। স্ট্রেস কমে লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রচুর ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআথ্রার্ইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক