দঁাত নিয়ে শিশুর জন্মগ্রহণ

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
বিরল হলেও সত্য যে, কোনো কোনো শিশু জন্মের সময় অতি ক্ষুদ্রাকৃতির দঁাত নিয়ে জন্মগ্রহণ করে থাকে। জন্মের সময় শিশু যে দঁাত নিয়ে জন্মায় সেটি ন্যাটাল দঁাত নামে পরিচিত। ন্যাটাল দঁাতকে ফিটাল দঁাতও বলা হয়। ন্যাটাল দঁাত নিওন্যাটাল দঁাতের চেয়ে আলাদা যা জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে জন্মায়। জন্মগতভাবে একটি শিশু যখন দঁাত নিয়ে জন্মায় তখন পরিবারের সবাই তো বটেই আশপাশের সব মানুষের মধ্যে শিশুটিকে কেন্দ্র করে একটি অদম্য কৌত‚হল জন্মায়। আলাপ-আলোচনা, সমালোচনা কোনো কিছুই বাদ যায় না। ন্যাটাল দঁাত দেখার জন্য সবার মধ্যে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ন্যাটাল দঁাত বা ফিটাল দঁাত সাধারণত নিচের মাড়িতে উঠে থাকে যেখানে পরে নিচের সেন্ট্রাল ইনছিসর অথার্ৎ কতর্ন দঁাত উঠে থাকে। ন্যাটাল দঁাতের গোড়ার গঠন খুবই ছোট হয়ে থাকে, যা নরম কোষের মাধ্যমে গাম বা মাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ন্যাটাল বা ফিটাল দঁাত নিয়ে বহু বছর ধরে কুসংস্কার বিদ্যমান। ন্যাটাল দঁাত সাধারণত একটি হয়, তবে একের অধিকও হতে পারে। ন্যাটাল দঁাতের গঠন তত শক্ত নয়। তবে ন্যাটাল দঁাতের কারণে জিহŸায় ক্ষত দেখা দিতে পারে। দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য ন্যাটাল দঁাত খুবই অসুবিধার সৃষ্টি করে থাকে বিশেষ করে দুগ্ধদান করার সময়। জন্মের সময় শিশু হাসপাতালে থাকাকালে ন্যাটাল দঁাত ফেলে দেয়া উচিত, যদি ন্যাটাল দঁাতের অবস্থা নড়বড়ে থাকে। কারণ এ ধরনের ন্যাটাল দঁাতের কারণে শিশু দঁাতটি খেয়ে ফেলতে পারে আবার দঁাতটি শ্বাসনালিতে প্রবেশ করতে পারে। যদি রক্তপাতের সম্ভাবনা থাকে তাহলে ন্যাটাল দঁাত তখন তোলা যাবে না। ১০ দিন অতিবাহিত হলে ভিটামিন ‘কে’ ইনজেকশন প্রয়োগ করার পর দঁাত তুলতে কোনো সমস্যা হবে না। ন্যাটাল দঁাত সাধারণত কোনো শারীরিক অবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে না। তবে কখনো কখনো ন্যাটাল দঁাত যেসব শারীরিক অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে সেগুলো হলোÑ (ক) এলিসভ্যান ক্লিভেন্ড সিনড্রোম (খ) হলারম্যান স্ট্র্রিফ সিনড্রোম (গ) পিয়ারি রবিন সিনড্রোম (ঘ) সটো সিনড্রোম। এ ছাড়া ন্যাটাল দঁাত ঠেঁাট কাটা এবং তালু কাটা শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে।