মুখে ঘা হলে করণীয়

প্রকাশ | ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
বিশেষত যারা পানের সঙ্গে জদার্ খান এবং নিয়মিত অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি হয় এবং লক্ষ্য করা গেছে অনেকেই তামাকপাতাকে হাতের মধ্যে নিয়ে চুনের সঙ্গে মিশিয়ে গালের মধ্যবতীর্ স্থানে রাখেন, তাতে দীঘির্দন ব্যবহারের ফলে ওই স্থানে ঘা হতে পারে। শুধু ঘা নয়, পরে এ ঘা ক্যান্সারেও রূপ নিতে পারে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে তামাকপাতা নেশার মতো ব্যবহৃত হয় সেসব অঞ্চলেও মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও ডায়াবেটিস সমিতির বারডেম হাসপাতালে ডেন্টাল বিভাগের দুটি তথ্যে দেখা যায়, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন এবং তামাকপাতা, জদার্ দিয়ে পান খান অথবা তামাকপাতা গালের মধ্যে রেখে ব্যবহার করেন তাদের শতকরা ১০০ জনের মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যারা জদার্ বা তামাকপাতা খান তাদের রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝঁুকি হতে পারে ৫০ ভাগ এবং যারা ধূমপান করেন এবং সেই সঙ্গে তামাকপাতাও পানের সঙ্গে ব্যবহার করেন তাদের ঝুঁকি শতকরা ১০০ ভাগ। সুতরাং যাদের মুখে ঘা রয়েছে এবং এসব অভ্যাস ছাড়তে পেরেছেন তাদের মুখের ঘা থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১০০ ভাগ নিশ্চিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মনে রাখবেন, যদি মুখের মধ্যে এসব ঘা লক্ষ্য করেন এবং চিকিৎসার পরও দুই থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয় তবে অবশ্যই বায়োপসি অথবা মাংসের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখতে হবে কারণ মুখের এসব ঘা বা সাদা ক্ষতকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন প্রি-ক্যান্সার লিশন বা ক্যান্সারের পূবার্বস্থার ক্ষত। সংক্ষেপে বলতে হয়, যাদের ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, রিউম্যাটিক ডিজিজ ও পরিপাকতন্ত্রের রোগ রয়েছে এবং যারা দীঘির্দন নিয়মিতভাবে ওষুধ গ্রহণ করছেন, যারা কৃত্রিম দঁাত ব্যবহার করেন, যারা ধূমপান করেন বা তামাকপাতা, জদার্, গুল ব্যবহার করেন তারা অবশ্যই দঁাত ও মুখের যতœ নেবেন এবং এসব ঘা দেখা দেয়ামাত্রই চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন। সবশেষে যারা ধূমপান করেন বা তামাকপাতা, জদার্ খান তাদের যেহেতু মুখের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বা ঝঁুকি ১০০ ভাগ সেহেতু মুখের ঘা বা ক্যান্সার প্রতিরোধে আজই ধূমপান ও সেই সঙ্গে তামাকপাতা, জদার্ ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজাতীয় রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাব্যবস্থা মেনে চলা প্রয়োজন। কারণ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্ত থাকার একমাত্র উপায়।