সাধারণ কাশি, না করোনা বুঝবেন যেভাবে

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২১, ০০:০০

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে সর্দি-কাশি হতে পারে, বিশেষজ্ঞদের এমনই মত। এ ছাড়া গলাব্যথা, অল্প অল্প জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে প্রাথমিক এসব উপসর্গ দেখে কেউ টের পান না যে, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত। আর তাই তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই সংক্রমিত করেন অন্যদের। এ সময় সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশি করোনার লক্ষণ হতে পারে। তাই সচেতন থাকা জরুরি। তবে কীভাবে বুঝবেন যে, আপনি করোনায় আক্রান্ত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ ফ্লু ও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কাশির ধরন অনেকটাই ভিন্ন। একটানা কয়েকদিন কাশি সমস্যা থাকা করোনার ইঙ্গিত দেয়। সাধারণ কাশি বা কোভিড-১৯ দুটোই আমাদের শ্বাসনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ভাইরাসের প্রভাবে হয়ে থাকে। ভাইরাসের ছোট ছোট ডপলেট কাশি-হাঁচি বা কথা বলার সময় এক মানুষের থেকে আরেক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। তবে এই দুটি রোগের ভাইরাস আলাদা এবং লক্ষণগুলোও আলাদা। সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় করোনার লক্ষণ বেশি গুরুতর। এটি সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় অনেক বেশি দিন পর্যন্ত মানুষের শরীরে টিকে থাকতে পারে। জেনে নিন, কাশির ধরন দেখে কীভাবে বুঝবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত- শুকনো কাশি : করোনার প্রভাবে যে কাশি হয়ে থাকে; তা শুকনো হয়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৯-৮২ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্তদেরই প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে শুকনো কাশি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চীনের একটি সমীক্ষা অনুসারে ৬৪ শতাংশ মানুষের মধ্যে শুকনো কাশির উপসর্গ পাওয়া গেছে। যা করোনা দ্বিতীয় লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত। শুকনো কাশি হলে কোনো শ্লেষ্মা বের হবে না। খুশখুশে কাশি বারবার হলে তা হতে পারে করোনার লক্ষণ। আবার শুকনো কাশি কোনো এলার্জির সংকেতও হতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান। অনেকক্ষণ ধরে কাশি: সাধারণ ফ্লুতে আক্রান্তদের কাশি বেশিক্ষণ ধরে থাকে না। তবে আপনার কাশি যদি বেশিক্ষণ ধরে হয়; তাহলে বুঝতে হবে আপনি যে কোনোভাবে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। কাশির সঙ্গে শব্দ: করোনা রোগীর কাশির সময় গলা থেকে শব্দও বের হতে পারে। এতে তার স্বাভাবিক স্বরের ওপর প্রভাব পড়ে। এমন হওয়ার কারণ হলো- দীর্ঘদিন ধরে কাশি হওয়ার ফলে গলার ভেতরে বাতাস চলাচল প্রভাবিত হয়। কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট: সাধারণ কাশির হলে কখনো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় না। তবে করোনায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কাশি এবং জ্বরের সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে। সাধারণত দীর্ঘক্ষণ কাশি হলে শ্বাসনালিতে গভীরভাবে প্রভাব পড়ে। এমন অবস্থায় মানুষ রীতিমতো হাঁপাতে থাকেন। এমন হলে তা কোনো সাধারণ ফ্লু নয়। এক সমীক্ষা অনুসারে, আনুমানিক ৪০ শতাংশ করোনা সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে কাশির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা গেছে।