মুখের অনাকাক্সিক্ষত লোম ও লেজার চিকিৎসা

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
মহিলাদের মুখে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লোম দেখা দিলে তাকে ‘হিরসুটিজম’ বলে। যে কোনো বয়সের মহিলাদের বেলায়ই ব্যাপারটি অত্যন্ত বিরক্তিকর। এটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ বলেও ধরে নেয়া হয়। তবে অনেক সময় কোনো রোগ ছাড়াও মুখে বাড়তি মাত্রায় লোম থাকতে পারে। বংশগত কারণেই এমনটি বেশি হয়ে থাকে। মহিলাদের শরীরের ‘এন্ডোজেন’ নামক হরমোনের আধিক্যই এ রোগের কারণ। এ জন্য দুটি গ্রন্থিকে দায়ী করা হয়। একটি হলো এডরিনাল এবং অন্যটি নারীর ডিম্বাশয় বা ওভারি। অবিবাহিত মহিলাদের এ সমস্যা হলে তার অনিয়মিত মাসিক থেকে এমনটি হতে পারে। বিবাহিত হলে অনিয়মিত মাসিক এবং এর সঙ্গে সন্তান হওয়া বা না হওয়ার সম্পকর্ জড়িত। এ অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় লোমকে ইলেকট্রিক মেশিনের সাহায্যে স্থায়ীভাবে নিমূর্ল করার পদ্ধতি ‘ইলেকট্রইপিলেশন’ করে হয়ে থাকে। যদিও লেজার প্রযুক্তি আসার পর এখন সামথর্্যবানদের আর এ পদ্ধতি এখন ব্যবহার করা হয় না। লেজার পদ্ধতি ব্যবহার করা এখন সময়ের দাবি। এতে সফলতা শতভাগ। লেজার দিয়ে চিকিৎসা এটি একটি কসমেটিক চিকিৎসা। অত্যাধুনিক এ পদ্ধতি বাংলাদেশেও সফলভাবে আমরা প্রয়োগ করছি। এটি লোমের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করে চুলকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে দেয়। এ থেকে নিগর্ত আলোকরশ্মি ত্বকের কোনো ক্ষতি না করে ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চুলকে ধ্বংস করে। ইনটেল পালস লাইট এটি আইপিএল নামে পরিচিত। এ লেজার দুটি ভিন্ন ধরনের মিশ্রিত রশ্মির সৃষ্টি করে যা ত্বকের গভীরে ও উপরিভাগে অবস্থিত চুলকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে। এ পদ্ধতিতে সময় অনেক কম লাগে। কারণ এ যন্ত্রের চিকিৎসা স্পষ্ট অনেক বড়। সাধারণত ৪ সপ্তাহ পরপর ৪টি সিটিংয়ের প্রয়োজন। এটি ব্যথামুক্ত, রক্তপাতবিহীন পদ্ধতি। এটি লোম দূরীকরণে শতভাগ কাযর্কর একটি লেজার চিকিৎসাপদ্ধতি। বতর্মানে এ পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী কাযর্কর পদ্ধতি। আমি নিয়মিতভাবে এটি করি। এক কথায় বলতে পারি চুল নিমূের্ল এর কোনো তুলনাই করা চলে না। এটি অপূবর্ এক পদ্ধতি। কিউসুইচড এনডিইয়াগ এটিও উপরের নিয়মে কাজ করে এবং সমানভাবে কাযর্করী।