ঘুম ও সৌন্দযর্

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ন্যূনতম ৪ থেকে সবচেয়ে বেশি ১০ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। শুধু শারীরিক সুস্থতাই নয়, সৌন্দযের্র জন্যও ঘুম দরকার। একটা সিস্টেম অ্যাকটিভ হয় ঘুম আসার জন্য। মস্তিষ্কের র‌্যাকে নিউক্লিয়াস ও লোকাস সেরুলিয়াস কেন্দ্র দুটির স্টিমুলেশনের কারণে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। র‌্যাকে নিউক্লিয়াস থেকে সেরোটোনিন ও নিউরো হরমোন নিঃসৃত হয় এবং লোকাস সেরুলিয়াস কেন্দ্র থেকে অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বাড়ায়। এ ছাড়া অন্ধকারে পিনিয়াল বড়ি থেকে মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। মানুষের ঘুম এবং ঘুম থেকে ওঠার জন্য রয়েছে সিরাকাডির্য়ান ক্লক বা বায়ো ক্লক। সারা দিন শরীরের যে ক্ষয় হয় তা পূরণ করার দায়িত্ব সিরাকাডির্য়ান সাইকলের। ঘুমের মধ্যে গ্রোথ হরমোন নিঃসরিত হয়। গ্রোথ হরমোন ত্বক ও চুলের কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গ্রোথ হরমোনের প্রভাবে ত্বক ও চুলের নতুন কোষের জন্মের হার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ঘুম যদি কমে যায় বা না হয়, তাহলে গ্রোথ হরমোনের অভাবে ত্বক অনুজ্জ্বল হবে ও চুল পড়বে। স্বাভাবিকভাবে যে চুল পড়ত আবার গজায় কিন্তু ঘুম কমের ফলে চুল পড়ে যাওয়ার হার গজানোর হারের তুলনায় কম। ঘুম কম হলে মেলাটোনিন কম তৈরি হয় এবং মেলাটোনিন তৈরি হয় টাইরোসিনের সহায়তায়। সুতরাং মেলাটোনিন তৈরি কম হলে শরীরে টাইরোসিন জমতে থাকবে। আর তার ফলে টাইরোসিন মেলানিন পিগমেন্ট তৈরি করে ত্বকের রং কালো করে। ঘুম না হলে প্রথমে চোখের তলায় কালি পড়ে। দীঘির্দন ঘুম না হলে বা ঘুমের কমতি হলে ত্বকের রং কালচে হয়ে ওঠে। ঘুমের মধ্যে সেবাশিয়াস গø্যান্ডের ক্ষরণ হয়। সেবাশিয়াস গø্যান্ডের ক্ষরণের ফলে ত্বক ও চুল উজ্জ্বল থাকে। তাই ঘুম কম হলে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ঘুমের মধ্যে মাসাল বা মাংসপেশি রিলাকশেসন বা শিথিল হয়। ফলে রক্ত সঞ্চালিত হয়ে শরীরের সব জায়গায় পেঁৗছে এবং শরীরের ক্ষয় পূরণ হয়। কিন্তু ঘুম কম হলে তা সম্ভব হয় না। ফলে শরীর ক্লান্ত হয় ও সেই ছাপ পড়ে চেহারায়। ঘুম কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। হাত, পা কঁাপতে পারে। সৌন্দযর্হানির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক বিপযর্য় ঘটে। ঘুম কেন হচ্ছে না এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। শান্তভাবে ভাবুন শরীরিক বা পারিপাশ্বির্ক কোনো সমস্যার জন্য ঘুম হচ্ছে না। মানসিক কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে সৌন্দযর্হানি বেশি ঘটে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যাবেন।