হৃদরোগ বা স্ট্রোকের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। কোভিড সংক্রমণের পর যাদের পরিস্থিতি হঠাৎ গুরুতর হয়ে উঠছে, তাদের মধ্যে একাংশের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। তাই যাদের এই সমস্যা আগে থেকে আছে, তাদের সাবধান হতে হবে। এই সময়ে প্রত্যেক দিন রক্তচাপ মেপে দেখুন এবং তা বেশি থাকলে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। যে সব নিয়ম পালন করলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

পুষ্টিকর খাবার: প্রোটিনে ভরপুর ডায়েট আপনার জন্য উপযুক্ত। ফল, সবজি, লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার খান। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমাতে হবে। একটা খাবারের ডায়েরি রাখতে পারেন। রোজ কি খাচ্ছেন, কতটা খাচ্ছেন, লিখে রাখুন। কোনো খাবারে কতটা ফ্যাট, কতটা প্রোটিন, কতটা কার্বোহাইড্রেট রয়েছে সেগুলো দেখে নিন।

নিয়মিত শরীর চর্চা: রোজ অন্তত আধঘণ্টা যেকোনো রকমের শরীর চর্চা করলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। তা হলে চট করে হাইপারটেনশন দেখা যাবে না। সাধারণত হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার খুব ভালো ব্যায়াম। কিন্তু এই লকডাউনে যেহেতু সেগুলো করা সম্ভব নয়, তাই বাড়িতে সহজ কিছু কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে হবে। হাই-ইনটেনসিটি ট্রেনিং করতে পারেন বাড়িতেই। ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পেয়ে যাবেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : আপনার বিএমআই'য়ের মাত্রা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আপনার বয়স, উচ্চতা এবং আরও কিছু শারীরিক লক্ষণ অনুযায়ী আপনার কত ওজন থাকা বাঞ্ছনীয়, তা চিকিৎসক বলে দেবেন। চেষ্টা করুন সেই ওজনটাই ধরে রাখার। খুব বেশি বেড়ে যাচ্ছে মনে হলেই ওজন কমানোর প্রয়াশ করতে হবে।

মাইগ্রেনের ব্যথা এবং প্রতিকার

লবণ কমান : প্রত্যেক দিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ শরীরে যেতে দেবেন না। শুধু রান্নায় কতটুকু লবণ দিচ্ছেন সেটা দেখলেই চলবে না, বাজার থেকে যদি কোনো তৈরি করা খাবার কেনেন, সেটায় কতটা লবণ রয়েছে, দেখা প্রয়োজন। বাজার থেকে কেনা চটজলদি খাবারেও প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। সেগুলো খেয়াল রাখুন।

উদ্বেগ কমান: নিজের মন শান্ত রাখা খুব প্রয়োজন। নিয়ম করে নিঃশ্বাসের ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করুন। যে খবর পড়লে উদ্বেগ বেড়ে যায়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। নিজের আশা-প্রত্যাশাগুলো বাস্তবিক করুন। ছোট ছোট জিনিস নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন এবং যে কাজ করলে মন ভালো থাকে, তেমন কিছু করুন। গাছের পরিচর্যা, রান্না করা, ছবি আঁকা, গান শোনা যেকোনো রকমে শখ হতে পারে।

মদ্যপান এবং ধূমপান ত্যাগ: এই দু'টি আপনার শরীরের পক্ষে প্রচন্ড ক্ষতিকর। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনি এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন।

\হঅনলাইন