শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুমালেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

নতুনধারা
  ১৬ জুন ২০২১, ০০:০০

মহামারির কাল! প্রায় প্রতিদিনই চেনা পরিচিত কারও না কারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চারদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রীর হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ঘরবন্দি জীবন। অশান্ত মনে ঘুম জানলা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য। কিন্তু কষ্ট করে হলেও নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে আপনাকে হবেই! এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘুমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর শক্তি।

এমনিতেই পর্যাপ্ত ঘুমের কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এ সময় মানুষের শরীর সম্পূর্ণ বিশ্রাম চায়। আর এ সময়ই শরীরের কোষ আর স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ক্ষতিকারক জীবাণু ও সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। মনের মধ্যে যতই দুশ্চিন্তা থাক, দেখবেন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠলে তার প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে। তেমনই স্নায়ুর ওপর চাপ পড়লে মস্তিষ্ক এবং শরীরে ক্লান্তি আসে। ঘুমের মাধ্যমেই তা কাটানো সম্ভব।

এবার আসা যাক টি-সেলের কথায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার বলে দাবি গবেষকদের একাংশের। তাদের যুক্তি, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কয়েক গুন বাড়িয়ে দিতে পারে এই কোষ। কোনো বেগতিক দেখলেই নাকি কোষে কোষে বিপদ সংকেত পাঠিয়ে দেয় টি-সেল। যাতে কোষগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য তৈরি থাকে। ঘুমের সময়ই এই কোষের আধিক্য দেখা যায়।

কতক্ষণ একজন মানুষের ঘুম পর্যাপ্ত? প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৮ ঘণ্টা ঘুমকে পর্যাপ্ত মনে করা হয়। গবেষকরা বলছেন, এর কম ঘুম হলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আর যারা ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের শরীর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সবচেয়ে কম থাকে। হঁ্যা, এই অশান্ত সময়ে অনেকেরই রাতে ঘুম হচ্ছে না। একটু চেষ্টা করতেই হবে। কিছু নিয়ম মানতে পারেন। রাতে শোয়ার আগে ভালো কিছু দেখুন বা শুনুন। সুগন্ধী তেল ব্যবহার করলেও মন শান্ত হয়। আর মোবাইল বা ল্যাপটপ শোয়ার সময় অবশ্যই দূরে রাখবেন। লড়াই করার শক্তি পেতে গেলে একটু বিশ্রাম তো নিতেই হবে।

য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে