বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত হলে যা যা খাবেন

নতুনধারা
  ১৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০

যেহেতু করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রামক ধরন ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে কে কখন কোথায় সংক্রমিত হবেন বলা যায় না। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ ও মাল্টিভিটামিনের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ থেকে নিরাময়কালে সুস্থতার প্রক্রিয়া দ্রম্নত করতে এবং ইমিউনিটি ফিরে পেতে বেশি প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুষ্টিবিদরা কোভিড-১৯ রোগীর জন্য রিকভারি ডায়েট বা নিরাময়কারী খাদ্যতালিকা তৈরি করেছেন। এখানে তেমন কিছু পুষ্টিবিদের রিকভারি ডায়েট দেয়া হলো:

পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকরের রিকভারি ডায়েট

হ সকালে ৫-৬টা ভেজা কাঠবাদাম এবং ৪-৫টা কিসমিস খাবেন। এরপর একবাটি ওটমিল খাবেন।

হ দুপুরের খাবার খাওয়ার পর এক চামচ গুড় খাবেন, সঙ্গে ঘি। অথবা দুপুরের খাবার হিসেবে গুড় ও ঘি দিয়ে রুটি খেতে পারেন।

হ রাতের খাবার হিসেবে সাধারণ খিচুড়ি (চাল ও মসুর ডালে তৈরি) খাবেন। এতে অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়বে। তারপর পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।

হ যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করুন। সাধারণ পানির পাশাপাশি লেবুর শরবত ও বাটার মিল্ক পান করতে পারেন।

পুষ্টিবিদ পূজা মখিজার রিকভারি ডায়েট

হ উন্নতমানের প্রোটিন পেতে ডাল পরোটা, মুগডালের নাস্তা, বেসনের নাস্তা, ডিমের নাস্তা, মুরগির মাংস ও মাছ খেতে পারেন।

হ বেশি করে ফল ও শাকসবজি খান। কিছু ফলের সমন্বয়ে কাস্টার্ড খেতে পারেন। কাস্টার্ডে কলা, ডালিম, আম ও আপেলের মতো সুমিষ্ট ফল রাখার চেষ্টা করুন। তরমুজের মতো পানিসমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন। ভিটামিন-সি'সমৃদ্ধ ফল তো খাবেনই। বাদাম বা বাদামের মাখন খান। এছাড়া সবজি পোলাও খেতে পারেন।

হ ঘরে প্রস্তুতকৃত খাবার খাবেন এবং উচ্চ চর্বি, উচ্চ চিনি ও জাঙ্ক ফুড পরিহার করবেন।

হ খুবই দুর্বল লাগলে এ দুটি সাপিস্নমেন্ট সেবন করতে পারেন: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (১০০০ মিলিগ্রাম) এবং কোএনজাইম কিউ ১০ (১০০ মিলিগ্রাম)।

হ ঘ্রাণশক্তি হারালে ও স্বাদ নষ্ট হয়ে গেলে আলফা লিপোইক অ্যাসিড এবং ভিটামিন-এ'সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। অথবা যথাক্রমে ২০০ মিলিগ্রাম এবং ২০০০ আইইউ সাপিস্নমেন্ট সেবন করতে পারেন। রাইস ব্রান, আলু, পালংশাক ও মটরশুঁটিতে আলফা লিপোইক অ্যাসিড পাবেন। ভিটামিন-এ'সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- ডিম, কমলা বা হলুদ রঙের শাকসবজি ও ফল, পালংশাক, লাল ক্যাপসিকাম ও গাঢ় সবুজ শাকসবজি।

পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়ালের রিকভারি ডায়েট

হ সকালে ৬-৭টি ভেজা কাঠবাদাম, ২-৩টি আখরোট বাদাম এবং ৫-৬টি কিসমিস খাবেন। এরপর আদা, তুলসি পাতা ও পুদিনা বীজ দিয়ে তৈরিকৃত এককাপ হার্বাল পানীয় পান করুন। এছাড়া পানি সহকারে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেতে পারেন।

হ সকালের নাস্তা হিসেবে ডাল পরোটা অথবা সবজি খিচুড়ি খেতে পারেন। ডিমের নাস্তাও খেতে পারেন। সম্ভব হলে এক গস্নাস বাটারমিল্ক পান করুন। মধ্য সকালে ডাবের পানি অথবা কোনো ফলের (যেমন- কমলা, আপেল, পেঁপে ও আনারস) শরবত পান করতে পারেন।

হ দুপুরের খাবার হিসেবে জিরা ভাত বা গমের রুটি খেতে পারেন। ডাল ও ডিম দিয়ে সাদা ভাতও খেতে পারেন। এরপর ঘরে প্রস্তুতকৃত দই খান। ঘণ্টাখানেক পর দুটি খেজুর খেয়ে নিন।

হ সন্ধ্যায় মিষ্টি আলু, ছোলা অথবা পছন্দনীয় ফল খেতে পারেন। এরপর এককাপ হার্বাল চা পান করতে পারেন। একটু বিরতি নিয়ে চিকেন সু্যপ বা সবজির সু্যপ খেতে পারেন। এমনকি আবারও পছন্দনীয় ফল খেতে পারেন।

হ রাতের খাবার হিসেবে মুগডাল ও সবজির খিচুড়ি খাবেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করুন অথবা হলুদ ও গোল মরিচের পানীয় পান করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে