শুঁটকির পুষ্টিগুণ

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক
শুঁটকির সঙ্গে অপরিচিত কারও কারও নাক হয়তো কুচকে আসে। কিন্তু শুঁটকিভক্ত মানুষের এ গন্ধ ভালোই লাগে। সমুদ্রসৈকতে বেড়ানো শেষে শুঁটকি পল্লী ঘুরে পছন্দের শুঁটকি দিয়ে ব্যাগ ভতির্ করে তারা। খাওয়া চলে বছরজুড়ে। এমন শুঁটকি শুধু সমুদ্রের মাছেরই নয়, বাজারে স্বাদু পানির মাছেরও শুঁটকি চলে দেদার। সমুদ্রেঘেষা শুঁটকি পল্লীগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এখন শুঁটকি তৈরি হচ্ছে। বাড়ছে জনপ্রিয়তা। পুষ্টিগুণের হিসেবে এই শুঁটকি খুবই উচ্চ দরের। শুঁটকিতে আছে প্রোটিন। এতে প্রায় সব ধরনের অ্যামাইনো এসিডই বিদ্যমান। মোট ১০০ গ্রাম শুঁটকির শতকরা ১৪ থেকে ২২ ভাগই প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে শতকরা দুই ভাগের নিচে চবির্ থাকলে তাকে চবির্মুক্ত মাছ বলা হয়। এ গবেষণায় দেখা যায়, এ দেশের অধিকাংশ শুঁটকি কম চবির্যুক্ত। তাই উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে যারা ভুগছেন তাদের জন্য শুঁটকি হতে পারে উৎকৃষ্ট খাবার। তাজা মাছের তুলনায় শুঁটকিতে খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফেরাস, আয়রন উল্লেখযোগ্য। সামুদ্রিক মাছের শুঁটকিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’। তাই শুঁটকি স্বাদে, গন্ধে যেমনই হোক পুষ্টিগুণের বিচারে শুঁটকিকে অবহেলা করার অবকাশ নেই।