সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাগ থেকে হৃদরোগ রেগে যাওয়া শুধুই একটি মামুলি সমস্যা নয়। অনেকে কারণে অকারণে রেগে যান। যারা রেগে যান তাদের অনেক ক্ষেত্রে খানিকটা মানসিক সমস্যাও থাকতে পারে। তবে যারা হঠাৎ রেগে যান তারা যদি খুব সিরিয়াসলি জানতেন যে হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণে তাদের হাটর্ অ্যাটাক পযর্ন্ত হতে পারে। ঘটতে পারে কোনো বিপদ, বিপযর্য়। তাহলে হয়তো বা তারা কখনই রাগতেন না অথবা রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটত একেবারেই কম। কারণ, রেগে যাওয়ার ক্ষেত্রে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। অতি সম্প্রতি জন হপকিনস অব স্কুল মেডিসিনের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয় যারা আকস্মিক রেগে যান তাদের অকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝঁুকি তিনগুণ এবং হাটর্ অ্যাটাকের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে পঁাচগুণ বেশি। রেগে গেলে কেন হাটর্ অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি এ নিয়েও গবেষণা কম হয়নি। এ ব্যাপারে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের সাইকোলজিক্যাল টেস্টিং সেন্টারের সাইকোলজি সহকারী জেরি কিফার মনে করেন হঠাৎ রেগে গেলে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় এবং শরীরের কেটিকোলামিন নামে এক ধরনের কেমিক্যাল নিঃসরিত হয় যা হাটের্র রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে হাটর্ অ্যাটাক হতে পারে। পাশাপাশি এটাও গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে, মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরই রেগে যাওয়াজনিত হাটর্ অ্যাটাকের ঝঁুকি সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে জেরি কিফারের মতে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা সবচেয়ে ভালো। তা না হলে আকস্মিক রেগে না গিয়ে রাগের বহিঃপ্রকাশ অন্যভাবে করা যায়। তবে এ ব্যাপারে মনোচিকিৎসকের অভিমতÑ রাগ সংবরণ করা সবচেয়ে ভালো। যদি কেউ তাদের হঠাৎ রেগে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন তবে অবশ্যই যে কোনো মনোচিকিৎসকের পরামশর্ নেয়া ভালো। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক বেশি ঘাম নয় অথচ ক্যালরি পোড়াবেন আপনার ভিতরের শিশুকে জাগিয়ে তুলুন। ১০ মিনিট লাফদড়ি খেলুন। পুড়বে ১০০ ক্যালরি। ২৫ মিনিট আপনার বাগানে কাজ করুন খরচ হবে ১০৩ ক্যালরি। ২০ মিনিট প্রিয়জনের সঙ্গে হঁাটুন। পুড়বে ১০২ ক্যালরি। আপনার সাথিকে ২২ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। পুড়বে ১০৩ ক্যালরি। সুতো বা উল বুনতে থাকুন আর টিভি দেখুন। খরচ করুন ১০২ ক্যালরি। বন্ধুদের কাছে কম্পিউটারে টাইপ করে ই-মেইল পাঠান। পুড়বে ১০০ ক্যালরি। আপনার প্রিয় কুকুরটির সঙ্গে খেলুন ৩৫ মিনিট ধরে। পুড়বে ১০০ ক্যালরি। ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় মনোযোগ দিন। ক্যালরি পুড়বে ১০৭ ক্যালরি। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক কিডনির ক্ষতি করে ভিটামিন ‘বি’ ডায়াবেটিসগ্রস্ত প্রায় ৪০% ব্যক্তি কিডনি রোগের শিকার হয়। উচ্চমাত্রার ভিটামিন গ্রহণের ফলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যায়। কানাডিয়ান গবেষকরা টাইপ-১ অথবা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট ১ থেকে ৩ স্তরের পুরনো কিডনি রোগগ্রস্ত ২৩৮ ব্যক্তির ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেন। রোগীদের প্রত্যেকে প্রতিদিন ‘বি’ ভিটামিন ফলিক এসিড (২৫০০ মাইক্রো গ্রাম), ভিটামিন বি ৬ (২৫ মিলিগ্রাম) এবং ভিটামিন ১২ (১০০০ মাইক্রোগ্রাম) খেতে দেয়া হয়। পূবর্বতী এক সমীক্ষায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছিল যে, ‘বি’ ভিটামিন রক্তে হোমো-সেস্টাইনের মাত্রা কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষা দেয়। হোমো-সেস্টাইন এক ধরনের এমাইনো এসিড, যার সঙ্গে ডায়াবেটিসগ্রস্ত ব্যক্তিদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝঁুকি রয়েছে। সমীক্ষা শুরুর তিন বছর পর দেখা যায় যাদের উচ্চমাত্রার ‘বি’ ভিটামিন দেয়া হয়েছিল, তাদের কিডনির কাযর্কারিতা ছলৌষধী গ্রহণকারীদের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং ভিটামিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৪ জন, ছলৌষধী গ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ১৩ জন হৃদরোগ অথবা সন্ন্যাসজাতীয় হৃদসংবহন রোগের শিকার হয়েছে। তাই চিকিৎসকদের নিদের্শ অনুযায়ী বি ভিটামিন সেবন করুন। একটি আদশর্ মাল্টি ভিটামিন বড়িতে থাকে ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড, ২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬ এবং ৬ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি১২। য় যাযাদি হেলথ ডেস্ক