শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আক্রান্তের ডায়েট

সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সময় এবং সেরে ওঠার পরেও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার রোগীর জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেহের রোগ প্রতিরোধ সিস্টেমকে ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে। মনে রাখতে হবে যে সব করোনা রোগীর মুদু উপসর্গ থাকে তারা হয়তো দ্রম্নত সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে সতর্ক না থাকলে ফল হতে পারে মারাত্মক। তাই সুস্থ হয়ে ওঠার পরও শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থের পরিপূর্ণ জোগান প্রয়োজন। কারণ সুস্থ হওয়ার পর শারীরিক সিস্টেমে যে ঘাটতি তৈরি হয়, এই উপাদানগুলো পুনরায় সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যায়। এটি অন্যতম একটি প্রধান লক্ষণ। এর ফলে আমাদের খিদের ওপর প্রভাব পড়ে। প্রয়োজনীয় ও পরিমাণ মতো খাদ্য রোগী গ্রহণ করতে পারে না- যার ফলে দেখা দেয় শারীরিক দুর্বলতা। তাই এ সময়ে যেটুকু খাবার খাওয়া সম্ভব সেই খাবার যেন হয় স্বাস্থ্যগুনে সম্পন্ন ও পুষ্টিকর।

দিনের শুরুতেই অ্যান্টি-অক্সিডন্টসমৃদ্ধ খাবার যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কোভিড রোগ চলাকালীন দিনের শুরুতে রসুন, ৩০ মিলি লিটার আমলকি ও অ্যালোভেরার জুস, জিরা ও জোয়ান ভেজানো পানি বা মেথি ভেজানো পানি বা দারচিনি ভেজানো পানি খাওয়া যেতে পারে। এরপর সকালে ৫টি আমন্ড, ২টি আখরোট, ১টি খেজুর খাওয়া যায়, এর সঙ্গে একটু মৌসুমি ফল খেলে আরও ভালো। ব্রেকফাস্টে আমন্ড দুধের সঙ্গে ওটস মিল খেতে পারেন, চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করুন গুড়। সঙ্গে খেতে পারেন কয়েকটি ডিমের সাদা অংশ। শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখার জন্য খেতে পারেন ডাবের পানিও।

মধ্যাহ্নভোজ বা লাঞ্চে এনার্জির জন্য কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার প্রয়োজন। লাঞ্চে ব্রাউন রাইস, মিষ্টি আলু, গমের রুটি খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনের জন্য কলাইয়ের ডাল, মাংস, মাছ খাওয়া যেতে পারে। এর থেকে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডও পাওয়া যায়। দুয়েক রকমের ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলসমৃদ্ধ মৌসুমি সবজি ডায়েটে রাখা যায়। লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলালেবু, আঙুর, কিউই খাওয়া যেতে পারে। এর পাশাপশি হলুদ দেওয়া দুধ, আদা চা, বা গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।

রাতের খাবার বা ডিনারে হাই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। বোন ব্রথ সুপ, ডিম, গ্রিলড ফিশ, ব্রোকলি, সবজি ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে ফেলতে হবে এবং এ সময়ে প্যাকেটজাত খাবার, প্রিজার্ভড ফুড, ভাজাভুজিসমৃদ্ধ খাবার, কুকিজ, ক্যাফিন, জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহল, ও ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে